Raiganj: শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের আক্রমণ, মৃত TMC কর্মী

Raiganj: গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়েছে অনেকদিন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ সাহাভিটা এলাকায় নিজের বাইকে চড়ে শ্বশুরবাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। তবে শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র ২ কিলোমিটারের মধ্যেই তাঁকে একদল দুস্কৃতী আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।

Raiganj: শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের আক্রমণ, মৃত TMC কর্মী
তন্ময় সরকারImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2023 | 2:22 PM

রায়গঞ্জ: এক তৃণমূল কর্মীকে খুন দুষ্কৃতীদের। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের জামাই। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার সাহাভিটার ঘটনা। আহতের নাম তন্ময় সরকার (৩০)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশুমুন্ডি থানার দেওখন্ডা এলাকায়। গত গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে তন্ময় তাঁর শ্বশুর দেবকুমার সরকারের হয়ে প্রচার করেছিলেন সাহাভিটা এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে তিনি জয়ীও হন দেবকুমার। অভিযোগ, এরপর থেকেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তন্ময়কে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ।

গ্রাম পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়েছে অনেকদিন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ সাহাভিটা এলাকায় নিজের বাইকে চড়ে শ্বশুরবাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। তবে শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র ২ কিলোমিটারের মধ্যেই তাঁকে একদল দুস্কৃতী আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। গুলি চালানোর আওয়াজ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দিকে দেখেন বলে দাবি। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ইটাহার ব্লক হাসপাতালে ও পরে এদিন রাতে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

যদিও, এলাকাবাসীর কেউ কেউ বলছেন ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তন্ময় জখম হয়েছেন। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত মেডিকেলে তাঁর অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর,ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করলেও বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দেবকুমার সরকার বলেন, “আমি শুনলাম পাড়ায় ঝামেলা চলছে। তারপর দেখছি আমার জামাইকে গুলি করা হয়েছে। তারপর দেখছি রক্তাক্ত অবস্থায় ও শুয়ে আছে। আমাদের পাড়ার বিজেপির লোকজন এইসব করেছে। জামাই ভোটের সময় আমায় হয়ে প্রচার করেছিল। সেই সময় থেকেই শত্রুতা তৈরি হয়েছে।” উত্তর দিনাজপুর বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিৎ নয়। ওই ভদ্রলোকের মহিলা ঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়। তারপর বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এখানে রাজনীতির যোগ নেই।”