Raiganj Medical College and Hospital: মেডিক্যালের এসএনসিইউয়ে শুয়ে বাচ্চা, বুক ঢিপ ঢিপ করে মায়ের! ওখানে যে ডাক্তারই নেই…

Raigung: মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসকের অপ্রতুলতার বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও একাধিকবার জানিয়েছে। তবে কোনও অজানা কারণেই শূন্যপদ এখনও শূন্যই।

Raiganj Medical College and Hospital: মেডিক্যালের এসএনসিইউয়ে শুয়ে বাচ্চা, বুক ঢিপ ঢিপ করে মায়ের! ওখানে যে ডাক্তারই নেই...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2023 | 11:25 PM

উত্তর দিনাজপুর: সদ্যোজাত শিশুদের জন্য স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ (SNCU)। অথচ রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ইউনিটে কোনও ডাক্তার নেই। অভিযোগ, দু’মাসের বেশি সময় ধরে এই অবস্থা। অথচ এখান থেকে পরিষেবা নেন উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিন দিনাজপুর ও বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। শুধু পরিষেবা নেন বললে কম বলা হয়, একমাত্র ভরসা এই মেডিক্যাল কলেজ। অথচ অসুস্থ শিশুদের পরিচর্যাকেন্দ্রই এখন আইসিইউয়ে। মেডিক্যাল সূত্রে খবর, এসএনসিইউয়ে হিসাবমতো ছ’জন চিকিৎসক ও একজন ইনচার্জ মিলিয়ে মোট সাতজনের থাকার কথা। অভিযোগ, বর্তমানে মাত্র একজন চিকিৎসক, একজন ইনচার্জ চিকিৎসক দিয়েই চলছে ইউনিট।

রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অভাবে প্রায় প্রায়ই শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই সংখ্যাটা গত সাতদিনের হিসাবে দেখলে ৬। দু’সপ্তাহের হিসাবে ১৬। যদিও চিকিৎসকরা শিশুমৃত্যুর ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক মানলেও শিশুদের স্বাস্থ্যের হিসাবে খুব একটা অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন না। তবে চিকিৎসকের অভাবে এসএনসিইউয়ে যে চরম অসুবিধা হচ্ছে, তা স্বীকার করে নেন।

মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসকের অপ্রতুলতার বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও একাধিকবার জানিয়েছে। তবে কোনও অজানা কারণেই শূন্যপদ এখনও শূন্যই। মেডিক্যালের এসএনসিইউ ইনচার্জ নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমি ১০ বছর হল এখানকার ইনচার্জ। সত্যিই আমাদের এখানে চিকিৎসকের খুবই অভাব। আমাদের এসএনসিইউ থেকে চারজন ডাক্তারবাবু পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁদের ছেড়ে দিতেই হবে। খুব কম সময়ের ব্যবধানেই তাঁরা চলে গিয়েছেন। বহুবার আমরা এটা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে।”

লাভলি খাতুন নামে এক প্রসূতি বলেন, “আমার সাত মাসে যমজ বাচ্চার জন্ম হয়। আগেই ডেলিভারি করতে হয়। মেয়েটা আছে, ছেলেটা মারা গিয়েছে। বুধবার রাতে বাচ্চার জন্ম হয়। বৃহস্পতিবার মারা যায়। এখানে তো দেখছি মাঝেমধ্যে মারা যাচ্ছে। দেখে যাচ্ছে মায়েরা। শুনছি ভাল। পরদিন শুনছি মারা যাচ্ছে।” অভিযোগ, চিকিৎসক কম থাকায় ব্যহত হচ্ছে পরিষেবা। যদিও এ কথা মানতে চাননি এসএনসিইউয়ের ইনচার্জ নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গত সাতদিনে পাঁচজন বাচ্চা মারা গিয়েছে। যার মধ্যে তিনজনের বাইরে ডেলিভারি হয়। খুব খারাপ অবস্থায় এখানে আসে। বাকি দু’জনের ওজন ১ কেজির নীচে ছিল। চিকিৎসক কম থাকা এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেনি।”