Uttar Dinajpur : সিজার টেবিলেই কেঁদে উঠল বাচ্চা, চলে গেল স্ত্রী, মৃতার দেহ আঁকড়ে নার্সিংহোমে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্বামী

Uttar Dinajpur : ওদের গাফিলতিতেই আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার দেব নিয়ে নার্সিংহোমের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বামী।

Uttar Dinajpur : সিজার টেবিলেই কেঁদে উঠল বাচ্চা, চলে গেল স্ত্রী, মৃতার দেহ আঁকড়ে নার্সিংহোমে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্বামী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2023 | 9:00 PM

ইসলামপুর : চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর (Paitent Death) অভিযোগ এ রাজ্যে নতুন নয়। প্রায়শই রাজ্যের নানা প্রান্তে এই অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুরের খবর উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। এবার চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুরে। প্রসূতির আটকে রেখে ক্ষতিপূরণের দাবিতে নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোেভ দেখাল রোগীর পরিজনরা। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ ডিসেম্বর ইসলামপুর শহরের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে ইসলামপুরের রিঙ্কুয়া এলাকার বাসিন্দা রাখি পাল(২২) নামে ওই প্রসূতিকে ভর্তি করে। সেদিন রাতে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন রাখি দেবী। করা হয় সিজার। কিন্তু, তার এক ঘণ্টা পর থেকেই বাজতে শুরু করে বিপদ ঘণ্টা। 

সূত্রের খবর, অপারেশনের এক ঘন্টা পর ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পরের দিন ২০ ডিসেম্বর ওই প্রসূতিকে রেফার করে দেওয়া হলে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে । সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা চলার পর শিলিগুড়ির চিকিৎসকেরা রোগীকে বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বলে পরিবারের দাবি। চিকিৎসকের কথা মতো তাঁকে বেঙ্গালুরুতেও নিয়ে যাওয়া হয়। সে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা চলার পর গতকাল ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। এরপরই ইসলামপুরের ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতদেহ নিয়ে এসে নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতার পরিজনেরা।

এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার স্বামী হরেন পাল বলেন, “ওদের গাফিলতিতেই আমার স্ত্রী মারা যায়। ওরা ভাল করে চিকিৎসা না করতে পেরে শিলিগুড়িতে রেফার করে। সেখান থেকে বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। মারা যায় ও। এখানে চিকিৎসার সময় আমাদের থেকে কুড়ি হাজার টাকাও নেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু বলেও সুস্থ রয়েছে সদ্যোজাত।”