Raiganj University : ‘রাস্তায় ফেলে আমাকে খুনের চেষ্টা করেছে’, তাপস পালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অধ্যাপিকা স্ত্রীর
Raiganj University : ২৩ ডিসেম্বর তাঁর স্ত্রীর আনা অভিযোগের ভিত্তিতে রায়গঞ্জ বিশ্বববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের এক অধ্যাপকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
রায়গঞ্জ: বধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। উঠেছে খুনের চেষ্টার অভিযোগও। যা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় (Raiganj University)। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপক তাপস পালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। স্ত্রীর অভিযোগ সামনে আসার পরেই তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার অভিযুক্তের অপসারণের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। কলেজে ঢোকার গেটের সামনে এদিন বিক্ষোভ দেখালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের পড়ুয়ারা। এই বিভাগেই অধ্যাপনার কাজ করেন অভিযুক্ত অধ্যাপকের স্ত্রী ময়ূরিকা রায়।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে অধ্যাপনা করেন। ২৩ ডিসেম্বর তাঁর স্ত্রীর আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। সোমবারই এ বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানেই অভিযুক্তকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার জানান, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য তাপস পালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করতে উপচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও তিনি জানান। তবে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, শুধু সাপপেন্ড করলে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ করতে হবে অভিযুক্ত অধ্যাপককে। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশের ছাত্রীদের। দোষীর উপযুক্ত শাস্তিরও দাবি জানান তাঁরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত অধ্যাপকের স্ত্রী ময়ূরিকা রায় বলেন, “আমাকে স্ত্রী মর্যাদা তো দূর, মানুষ হিসাবেও আমাকে কখনও দেখেনিও। দিনের পর দিন আমাকে মারধর করেছে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমাকে খুনের চেষ্টা করেছে। কখন বালিশ দিয়ে খুনের চেষ্টা করেছে। আমাকে ন্যাশনাল হাইওয়েতে ফেলে দিয়েও খুনের চেষ্টা করেছে। তাই এটা শুধুমাত্র বধূ নির্যাতনের মামলা নয়, এটা খুনের চেষ্টার মামলাও। আমি একজন আইনজীবী। তাই একজন আইনজীবী হয়ে আমি বার কাউন্সিলের সমস্ত আইনজীবীদের কাছে অনুরোধ করছি ওনার কেস কেউ লড়বেন না।”
আইন বিভাগের দ্বিকীয় বর্ষের ছাত্রী ব্রতপা সরকার বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি দীর্ঘদিন থেকেই ওই অধ্যাপক তাঁর স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন। তাঁর স্ত্রী আমাদের আমাদের বিভাগের অধ্যাপনা করেন। আমরা এও জানতে পেরেছি বিয়ের আগে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে ভূগোল বিভাগের ওই অধ্যাপক সম্পর্ক ছিলেন। বিয়ের পর সেই পরকীয়ার সম্পর্ক চালিয়েছেন। প্রতিবাদ করলে উনি আমাদের ম্যাডামের গায়ে হাতও তুলেছেন। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই এরকম একজন জঘন্য মানুষ যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর না থাকেন।”