USA: বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল মা, আশ্রয় শিবিরে ধর্ষণের পর খুন ৫ বছরের শিশুকে
Kansas girl raped and murdered: প্রতিবেশিদের বয়ান অনুযায়ী, মায়ের সঙ্গে থাকাকালীনও মেয়েটির জীবন মোটেই সুখের ছিল না। তাকে কেউ দেখভাল করার ছিল না। অনেক সময়ই শিশুটি এদিক-ওদিক চলে যেত। তবে, প্রতিবেশিদের অত্যন্ত প্রিয় ছিল সে। তাঁদের অনেকেই মেয়েটিকে স্নান করিয়ে দিতেন। কেউ দিতেন খাবার, কেউ দিতেন জামা-কাপড়।
ওয়াশিংটন: পাঁচ বছরের এক নাবালিকার ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ নিয়ে উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস প্রদেশ। জানা গিয়েছে ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন তার মা। এরপর সে ঠাই পেয়েছিল গৃহহীনদের এক আশ্রয় শিবিরে। ২ অক্টোবর ওই আশ্রয় শিবিরের নিকটবর্তী এক পেট্রোল পাম্প স্টেশনে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে পাওয়া গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মিশেল ডব্লিউ চেরি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত, মেয়েটির পূর্ব পরিচিত বলে জানা গিয়েছে। কানসাসে নাবালিকাটি যে এলাকায় থাকত, ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, মিশেল ডব্লিউ চেরি কানসাসে নাবালিকাদের সঙ্গেই থাকত। তবে, তার সঙ্গে নাবালিকার মায়ের কী সম্পর্ক ছিল, তা কারও কাছেই স্পষ্ট নয়। আরও বেশ কয়েকজন থাকত ওই বাড়িতে। কিছুদিন আগে মেয়েটি-সহ অন্যান্য সকলকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন পাঁচ বছরের মেয়েটির মা। এরপর তারা ওই গৃহহীনদের আশ্রয় শিবিরে থাকা শুরু করেছিল। জায়গাটি তাদের বাড়ি থেকে এক মাইলের মধ্য়েই অবস্থিত।
তবে প্রতিবেশিদের বয়ান অনুযায়ী, মায়ের সঙ্গে থাকাকালীনও মেয়েটির জীবন মোটেই সুখের ছিল না। তাকে কেউ দেখভাল করার ছিল না। অনেক সময়ই শিশুটি এদিক-ওদিক চলে যেত। তবে, প্রতিবেশিদের অত্যন্ত প্রিয় ছিল সে। তাঁদের অনেকেই মেয়েটিকে স্নান করিয়ে দিতেন। কেউ দিতেন খাবার, কেউ দিতেন জামা-কাপড়। তাকে কোনওদিন স্কুলেও পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশিরা। তাদের বাড়িতে কিছুই ঠিকঠাক চলত না বলে দাবি প্রতিবেশিদের। কারণ, মেয়েটি প্রায়শই প্রতিবেশিদের কাছে খেতে চাইত। তাদের বাড়িতে থাকতে চাইত। নিজের বাড়ির পরিবেশ ঠিক থাকলে, কোনও শিশুই এমন আবদার করে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
নাবালিকাটির উপর তার মা-ও যে অত্যাচার করত, তারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মার্কিন বিচার ব্যবস্থার রেকর্ডেই পাওয়া গিয়েছে, ২০১৮ সালে শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তার মায়ের বিরুদ্ধে। তিনি অপরাধ স্বীকারও করেছিলেন। এর জন্য তাকে ১৮ মাস প্রসাসনিক তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়েছিল। বর্তমান মামলার ক্ষেত্রে তার মায়ের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, অভিযুক্ত মিশেল ডব্লিউ চেরির বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হবে।