Bangladesh: উলুধ্বনি, মিষ্টিমুখে ১০০ জামাইকে বরণ
Bangladesh: রাজবাটীর এই হরিসভা শুরু হয় প্রতি বছর জগন্নাথদেবের রথযাত্রার দিনে। যা টানা ৫ দিন চলে। ২০ বছর ধরে এই হরিসভার আয়োজন করছেন স্থানীয়রা। ৫ দিনব্যাপী নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের শুরুর আগের দিন এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
ঢাকা: শঙ্খধ্বনি। উলুধ্বনি। পুষ্প ছিটিয়ে বরণ। জামাইদের জন্য অভিনব আয়োজন বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায়। ১০০ জন জামাইকে সেখানে বরণ করে নেওয়া হল। মিষ্টিমুখ করানো হল। তার মধ্যে অনেকের শ্বশুর-শাশুড়ি প্রয়াত হয়েছেন। তাঁদের বরণ করলেন অন্য কেউ।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজবাটী হিরাবাগান হরিসভা প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করে হরিসভা কমিটি। যেখানে শ্বশুর-শাশুড়িরা জামাইয়ের পথ চেয়ে থাকেন। আর জামাই আসলে এমনভাবে বরণ করে নেওয়ার আয়োজন চলে গভীর রাত পর্যন্ত। পঞ্চপ্রদীপ দেখানো। মিষ্টিমুখ করিয়ে হাতে রজনীগন্ধা এবং গলায় উত্তরীয় পরিয়ে জামাইদের সম্মান দেখানো হয়। জামাইদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানানোর চিন্তাভাবনা থেকেই এই ব্যতিক্রমী আয়োজন। ১০০ জন জামাইকে এমনভাবেই বরণ ও সম্মান জানানো হয় জেলার রাজবাটী হীরাবাগান এলাকায়।
রাজবাটীর এই হরিসভা শুরু হয় প্রতি বছর জগন্নাথদেবের রথযাত্রার দিনে। যা টানা ৫ দিন চলে। ২০ বছর ধরে এই হরিসভার আয়োজন করছেন স্থানীয়রা। ৫ দিনব্যাপী নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের শুরুর আগের দিন এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে। শ্বশুর-শাশুড়ি ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছে এমন আদর-আপ্যায়নের ভিন্নরকম এই আয়োজনে খুশি জামাইরা। অনেকের শ্বশুর-শাশুড়ি মারা গিয়েছেন। তাঁদেরও এই অনুষ্ঠানে বরণ করে নেওয়া হয়। শ্বশুর-শাশুড়ি না থাকার যন্ত্রণা ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন তাঁরাও।
আয়োজকরা জানান, অনেক জামাইয়ের শ্বশুর কিংবা শাশুড়ি নেই। যাতে করে তাঁরা সেই অভাববোধ না করে এবং জামাইদের একত্রিত করে একটি মিলনমেলায় পরিণত করার উদ্দেশ্যেই এমন আয়োজন। এবারই প্রথম হল এই আয়োজন। আগামী বছরগুলোতে আরও জাঁক-জমকপূর্ণভাবে এমন আয়োজন করার কথা জানালেন তাঁরা।