America: একেবারে যেন ম্যাজিক! যুদ্ধ হয়নি, গুলি-গোলাও চলেনি, তারপরেও আয়তনে আরও বড় হয়ে গেল আমেরিকা
America: আমেরিকা এই সমস্ত এলাকা দখল করছে দেখেও বাকিরা আপত্তি করল না কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপত্তি করল না, কারণ এই জলভাগের উপর যাঁদের দাবি থাকার কথা, তারা নিজেরাই নিজেদের হাত-পা বেঁধে ফেলেছে।
কলকাতা: প্রথমে শুনলে অনেকেরই হয়তো মনে হবে, এমনটা আবার হয় নাকি? মনে হতেই পারে। তবে ঘটনা হল যে গত কয়েক মাসে দেশের আয়তন অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে আমেরিকা। সূত্রের খবর, প্রায় ৬ লক্ষ ২১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা আমেরিকার দখলে এসেছে। যা কিনা স্পেন এবং পর্তুগালের মোট আয়তনের সমান। গত বছরের জুন-জুলাই থেকে নিজেদের এলাকা বাড়িয়ে নেওয়া শুরু করে আমেরিকা। এক বছর পর দেখা যাচ্ছে, দুটো বড় দেশের আয়তনের সমান এক বিরাট এলাকা তাদের হাতে এসে গিয়েছে। ঘুণাক্ষরেও কেউ কিছু জানতে পারেনি। যুদ্ধ হয়নি, গুলি-গোলাও চলেনি। খালি নতুন এলাকায় ঢুকে সীমান্ত টেনে দিয়েছে মার্কিন সেনা। প্রশ্ন উঠতেই পারে, নতুন এলাকায় ঢুকে আমেরিকা সেটা দখল করে নিল আর বাকিরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল? মগের মুলুক নাকি?
সূত্রের খবর, আমেরিকা যেসব এলাকার দখল নিয়েছে, সেগুলি অগভীর মহীসোপান অঞ্চল। ইংরেজিতে বলা হয় এক্সটেনডেড কন্টিনেন্টাল শেলফ। সমুদ্র তীর থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ভূমিভাগ হল মহীসোপান অঞ্চল। গত ১২ মাসে এমন ৬টি নতুন মহীসোপান অঞ্চল আমেরিকার হাতে এসেছে। উত্তর মেরু। আটলান্টিকের পূর্ব উপকূল। বেরিং সাগর। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূল। মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ ও মেক্সিকো উপসাগর। এর কোনটাই মার্কিন জলসীমার অংশ ছিল না।
তাহলে আমেরিকা এই সমস্ত এলাকা দখল করছে দেখেও বাকিরা আপত্তি করল না কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপত্তি করল না, কারণ এই জলভাগের উপর যাঁদের দাবি থাকার কথা, তারা নিজেরাই নিজেদের হাত-পা বেঁধে ফেলেছে। ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ সদস্য দেশগুলির সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ করে চুক্তি করেছিল। এতে ১০৯টি দেশ সই করলেও মার্কিন সেনেট এই চুক্তি অনুমোদন করেনি। তাই আমেরিকা নতুন মহীসোপান এলাকার দখল নিলে কারও কিছু করার নেই। বলা যায় চুক্তি সই না করে আমেরিকা নিজের জন্য সম্ভাবনা খুলে রেখেছিল। জো বাইডেন সরকার এতদিন পর তা কাজে লাগাল। গত তিন দশকে প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রের গভীরে বহু অভিযান চালিয়েছে আমেরিকা। এর মধ্যে এমন এলাকাও রয়েছে যার অস্তিত্ব কেউ জানতই না। তখনই মহীসোপান অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে রেখেছিলেন মার্কিন গবেষকরা। এবার সরকারিভাবে সেইসব এলাকা আমেরিকার অন্তর্ভূক্ত করেছে বাইডেন প্রশাসন।