ফের লকডাউন নিউ জিল্যান্ডে, ভারতও কি একই পথে?
মূলত ব্রিটেন স্ট্রেনের দাপাদাপির জন্যই লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে নিউ জিল্যান্ডকে (New Zealand)
ওয়েলিংটন: এক বছর আগে প্রথম করোনা আক্রান্তর হদিশ মিলেছিল নিউ জিল্য়ান্ডে (New Zealand)। করোনা যুদ্ধ কাটিয়ে সে দেশের শেষ করোনা আক্রান্তও বাড়ি ফিরেছিলেন। সে দিন খুশিতে লাফিয়ে উঠেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন (Jacinda Arden)। কিন্তু ফের করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে জাসিন্ডা আর্ডেনের দেশে। যার ফলে তড়িঘড়ি দ্বিতীয় লকডাউনের পথে হেঁটেছে নিউ জিল্যান্ড। তবে সমগ্র নিউ জিল্যান্ড জুড়ে নয়, শনিবার লকডাউন জারি হয়েছে সে দেশের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে।
মূলত ব্রিটেন স্ট্রেনের দাপাদাপির জন্যই লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে নিউ জিল্যান্ডকে। করোনার একেবারে শুরুতেও মূলকেন্দ্র হুবেই প্রদেশে লকডাউন জারি করেছিল চিন। যার অর্থ, যেখানে সংক্রমণ, সেখানেই বাঁধ দেওয়া। এরপর করোনা রুখতে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, জার্মানিও একই পথে হেঁটেছে। দেশেও সংক্রমণ রুখতে জারি হয়েছিল লকডাউন। মার্চ মাসের শেষে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। নিউ জিল্যান্ডে এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন। সে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯। করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন।
ভারতে করোনা গ্রাফ নীচের দিকে নামছে। তবে মাঝে মাঝেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা। তাই সংক্রমণ রুখতে আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে মহারাষ্ট্র। লকডাউন জারি হয়েছে অমরাবতীতে। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি, একই পন্থা মেনে লকডাউন জারি হোক গুজরাট, মধ্য প্রদেশ ও পঞ্জাবে। দেশজুড়ে সেকেন্ড ওয়েভ আসার আগে অনেকেই দাবি করছেন, করোনা বিধ্বস্ত রাজ্যগুলির সীমানা বন্ধ করার। তাহলে কি ভারতও আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটবে, উঠছে প্রশ্ন।
এই নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণাও হয়েছে গত কয়েক মাসে। ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের গবেষণা বলেছে, স্থানীয় লকডাউনে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণের গতি কমিয়ে দেওয়া যায়। এর জন্য প্রয়োজন গণ করোনা পরীক্ষা এবং রিপোর্ট অনুযায়ী কোয়ারেন্টিন।