AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

২-৩ মাস পর থেকেই কমবে ‘অ্যান্টিবডি’! অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

COVID-19 Vaccines: শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকা নয়, ফাইজার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই তত্ত্ব।

২-৩ মাস পর থেকেই কমবে 'অ্যান্টিবডি'! অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2021 | 3:06 PM
Share

লন্ডন: বিশ্ব জুড়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে কোন ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সম্প্রতি ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার ৬ সপ্তাহ পর তৈরি হয় অ্যান্টিবডি, আর ১০ সপ্তাহ পর থেকে সেই অ্যান্টিবডি কমে যায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

উকে-র ইউনিভার্সটি কলেজে লন্ডনের একট গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা কবচ নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। বিশেষত নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিচ্ছে। তবে ঠিক কতদিনে অ্যান্টিবডি কমে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি গবেষকরা। তবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকায় ফাইজারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।

ইউনিভার্সটি কলেজে লন্ডনের গবেষক মধুমিতা শ্রোত্রি জানান, এই দুই ভ্যাকসিন নিলেও করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২-৩ মাস পর থেকেই অ্যান্টিবডির পরিমান কমতে শুরু করে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী ৬০০ জনকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ দিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও ভয় বাড়ছে। গবেষণা বলছে ভ্যাকসিনও হার মানছে ডেল্টার কাছে। গবেষকরা বলছেন, সবকটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে এটাই সবথেকে শক্তপোক্ত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ১০ জন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরও ডেল্টা থাবা বসাচ্ছে, এমন উদাহরণ রয়েছে অনেক। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ডেল্টার ভ্যাকসিনের প্রাচীর ভেদ করার প্রবণতা বেশি।

ব্রিটেনে দেখা গিয়েছে ডেল্টায় আক্রান্ত হয়ে ৩,৬৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে ৫৮.৩ শতাংশের টিকাকরণ হয়নি ও ২২.৮ শতাংশের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। সিঙ্গাপুর, যে দেশে ডেল্টার সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি, সেখানে ডেল্টায় আক্রান্তদের এক চতুর্থাংশেরই টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। যদিও প্রশাসনের দাবি এদের মধ্যে কেউই খুব বেশি অসুস্থ হননি। আমেরিকায় নতুন করে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮৩ শতাংশের শরীরেই মিলেছে ডেল্টা। শুধু তাই নয়, যারা বেশি অসুস্থ হয়েছে, তাদের ৯৭ শতাংশেরই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ। আরও পড়ুন: সুস্থতার পথে দেশ! মার্চের পর প্রথম ৩০ হাজারের নীচে নামল সংক্রমণ