Pakistan Bus Accident: দেহগুলি পুড়ে কাঠ, চিনতে পারছেন না পরিবারও! গিরিখাতে বাস পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি ৪০ জনের
Bus Accident: অগ্নিদ্বগ্ধ ওই বাস থেকে এক শিশু ও মহিলা সহ মোট তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও অবধি ১৭ টি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই দেহগুলিকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইসলামাবাদ: সেতুর উপর থেকে দিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল বাস। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেন চালক, টাল সামলাতে না পেরে সেতুর রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে গেল বাস (Bus Accident)। খাদে সজোরে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়, আগুন (Fire) ধরে যায় বাসে। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও কয়েকজন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের (Pakistan) বালোচিস্তানে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের কোয়েট্টা থেকে করাচী যাচ্ছিল বাসটি। বাসে কমপক্ষে ৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। বালোচিস্তানের লাসবেলার কাছে আচমকাই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিরিখাতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাসে আগুন ধরে যায়। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে বাসের কমপক্ষে ৪০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়।
লাসবেলার অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার হামজ়া অন্জুম জানান, ৪৮ জন যাত্রী নিয়ে করাচি যাচ্ছিল বাসটি। প্রাথমিকভাবে অনুমান, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল বাসটি। লাসবেলার কাছে ইউ টার্ন নিতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক, সোজা গিয়ে ব্রিজের পিলারে ধাক্কা মারে। এরপরই বাসটি গিরিখাতে পড়ে যায় এবং তাতে আগুন ধরে যায়।
At least 39 people were killed after a passenger coach fell into a ravine in Balochistan’s Lasbela, reported Pakistan’s Dawn News citing officials
— ANI (@ANI) January 29, 2023
জানা গিয়েছে, অগ্নিদ্বগ্ধ ওই বাস থেকে এক শিশু ও মহিলা সহ মোট তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও অবধি ১৭ টি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই দেহগুলিকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। বাসের আগুন নিভিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লাসবেলার অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার হামজ়া অন্জুম বলেন, “বাসের অধিকাংশ যাত্রীদের দেহই এতটা পুড়ে গিয়েছে, যে তাদের চিহ্নিতকরণও সম্ভব হচ্ছে না। মৃতদেহগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।”