মেঝে থৈ থৈ মানুষের রক্তে, রাশিয়ায় ‘হোলি’ খেলা এই নতুন ISIS-K কারা?

ISIS-K: শুক্রবার রাতে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে চলছিল কনসার্ট। সেখানেই হঠাৎ হামলা চালায় আততায়ীরা। লাগাতার গুলি, বোমা চলে কনসার্ট হলের ভিতরে। মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর তরফেও জানানো হয়েছে, ইসলামিক স্টেট-ই হামলা চালিয়েছে। তারা হামলার দায়ও স্বীকার করে নিয়েছে। 

মেঝে থৈ থৈ মানুষের রক্তে, রাশিয়ায় 'হোলি' খেলা এই নতুন ISIS-K কারা?
ফাইল চিত্রImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 23, 2024 | 1:31 PM

রাশিয়া: সপ্তাহ শেষে রক্তাক্ত মস্কো। কনসার্ট হলে ভয়ঙ্কর হামলা। লাগাতার গুলি, বোমা, গ্রেনেডে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল দর্শকদের দেহ। রাশিয়ার মস্কোয় একটি কনসার্ট হলে সন্ত্রাসবাদী হামলা চলে। হামলায় কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত শতাধিক। এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট বা আইসিসের শাখা সংগঠন আইসিস-কে। কারা এই আইসিস-কে? কেনই বা তারা হঠাৎ রাশিয়ায় হামলা চালাল?

শুক্রবার রাতে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে চলছিল কনসার্ট। সেখানেই হঠাৎ হামলা চালায় আততায়ীরা। লাগাতার গুলি, বোমা চলে কনসার্ট হলের ভিতরে। মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর তরফেও জানানো হয়েছে, ইসলামিক স্টেট-ই হামলা চালিয়েছে। তারা হামলার দায়ও স্বীকার করে নিয়েছে।  আইসিসের আফগানিস্তানের শাখা প্রতিষ্ঠান আইসিস-কে। তারাই এই হামলা চালিয়েছে।

কারা এই আইসিস-কে?

আইসিসের শাখা প্রতিষ্ঠান ইসলামিক স্টেট খোরাসান। এরা মূলত ইরান, তুর্কমেনিস্তান ও আফগানিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৪ সাল থেকে পূর্ব আফগানিস্তানে এই জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়ে ওঠে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে নৃশংস জঙ্গি সংগঠন হিসাবে বিশ্বের নজরে চলে আসে আইসিস-কে। তবে ২০১৮ সাল থেকে এই সংগঠন দুর্বল হতে শুরু হয়। আফগানিস্তানে তালিবান ও মার্কিন সেনার আধিপত্যের জেরেই আইসিস-কের সদস্য সংখ্যা কমতে থাকে। তবে তারপরও দমেনি আইসিস-কে। তালিবানের উপরে একাধিকবার হামলা চালায় আইসিসের জঙ্গিরা।

কোথায় কোথায় হামলা চালিয়েছিল আইসিস?

আইসিস-কে-র হামলা চালানোর লম্বা ইতিহাস রয়েছে। আফগানিস্তান ও তার বাইরে একাধিক জায়গায় মসজিদ এবং অন্যান্য জনপ্রিয় জায়গায় হামলা চালিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই জানা গিয়েছিল ইরানে জোড়া বোমাবর্ষণ, যে হামলায় প্রায় শতাধিক মৃত্যু হয়েছিল, সেই হামলার পিছনে হাত ছিল আইসিস-কে।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাবুলের রাশিয়ান দূতাবাসে আত্মঘাতী হামলার পিছনেও এই আইসিস-কে জড়িত ছিল। ২০২১ সালের কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলায় ১৩ জন মার্কিন বাহিনীর মৃত্যু হয়। ওই হামলারও দায় স্বীকার করে নিয়েছিল আইসিস-কে।  গত মাসেই মধ্য় প্রাচ্যের মার্কিন জেনারেল জানান, আইসিস-কে আমেরিকা সহ একাধিক পশ্চিমী দেশে হামলা চালাতে পারে।

রাশিয়ায় হামলার পিছনে কারণ কী?

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা প্রকাশ করতেই এই নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। বিগত দুই বছর ধরেই আইসিস-কে রাশিয়ার বিরোধিতা করে আসছে। তাদের ধারণা, রাশিয়া মুসলিম বিরোধী।