‘বাংলাদেশ গরিব না, কেন ভারতে যেতে হবে? ‘অবৈধ অনুপ্রেবেশ’-এর অভিযোগ অস্বীকার হাসিনা সরকারের

“আমি বিশ্বাস করি, ভারত বাংলাদেশের বাংলাদেশের ভাল বন্ধু। আমাদের বিশ্বাস এই বিষয়গুলো দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলবে না।”

‘বাংলাদেশ গরিব না, কেন ভারতে যেতে হবে? ‘অবৈধ অনুপ্রেবেশ’-এর অভিযোগ অস্বীকার হাসিনা সরকারের
ছবি - ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Nov 23, 2020 | 8:33 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে অমিত শাহের (Amit Shah) অভিযোগ অস্বীকার। বাংলাদেশ গরিব নয়। জিডিপি ভাল। কেন ভারতে যাবে? ‘অবৈধ অনুপ্রবেশ’-এর অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা জবাব বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের (Asaduzzaman Khan)।

বাংলায় এনআরসি (NRC) হবে এবং শীঘ্রই তার কাজও শুরু হবে, পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে দলীয় কর্মীদের তো বটেই রাজ্যবাসীকেও স্পষ্ট বার্তা দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদে ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (CAA) পাশ হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে সেটি আইনেও রূপান্তরিত হয়েছে। করোনার কারণে তা রাজ্যে কার্যকর করতে দেরি হচ্ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই যে কেন্দ্র এই বিষয়ে অগ্রসর হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কেন্দ্রের শাসক দলের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়। সে কারণেই এনআরসি প্রয়োজন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশের তরফে সে দেশের স্বরাষ্ট মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, “একাত্তরের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ ( Infiltration) হয়নি।” শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, “আমি বিশ্বাস করি, ভারত বাংলাদেশের বাংলাদেশের ভাল বন্ধু। আমাদের বিশ্বাস এই বিষয়গুলো দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলবে না।”

বাংলাদেশের মানুষ কেন ভারতে যাবে? পাল্টা প্রশ্ন আসাদুজ্জামান খান। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশ গরিব দেশ নয়। আমাদের জিডিপি ভাল, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও আমাদের উন্নতি হয়েছে। বাংলদেশে মানুষের জীবন জীবিকার মানোন্নয়ন হয়েছে।”আরও একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নাগরিকপঞ্জিকরণ কিংবা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যথা নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ভারতে কেউ অবৈধভাবে যায়নি। দেশভাগের সময় অনেক মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে গিয়েছে, তবে তারপর এমনটা আর হয় না।”