Awami League: আওয়ামি লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না, বলে দিলেন হাসিনাকে উৎখাতের ‘মাস্টারমাইন্ড’
Bangladesh Election: শনিবার বাংলাদেশের চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে একটি জনসভা থেকে তিনি বলেন, "আওয়ামি লীগকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিল্লিপন্থীদের স্থান নেই।"
ঢাকা: আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল, বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না আওয়ামি লীগকে। সাফ জানিয়ে দিলেন মহম্মদ ইউনূসের ডান হাত তথা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকার দেশ সংস্কারের কাজ করছে বলেই দাবি। তবে দেশ শাসন তো অস্থায়ী সরকারকে দিয়ে চলতে পারে না। প্রয়োজন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের। এই নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে ডামাডোল চলছে অনেকদিন ধরেই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের শুরু বা মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হবে।
এবার সেই নির্বাচনেই বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামি লীগকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার কথা জানাল উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শনিবার বাংলাদেশের চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে একটি জনসভা থেকে তিনি বলেন, “আওয়ামি লীগকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিল্লিপন্থীদের স্থান নেই।”
আবার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জের মাঠ থেকে মাহফুজ আলম বলেন, “শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের জন্য নির্বাচন নয়, কারণ দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছি। তাই আগামী কোনও নির্বাচনেই আওয়ামি লীগ ও তার সঙ্গীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।”
তাহলে কারা নির্বাচনে অংশ নেবে? মাহফুজ আলম জানান, খালেদা জিয়ার বিএনপি, জামাত-ই-ইসলাম ও অন্যান্য ‘বাংলাদেশ পন্থী’ রাজনৈতিক দলগুলিই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। কিন্তু আওয়ামি লীগকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। আওয়ামি লীগ ভোটে সামিল হলে ফের ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিল ইউনূস সরকার, কিন্তু খালি হাতে ফিরতে হয়। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছিল যে আওয়ামি লীগ নিষিদ্ধ না হওয়ায়, নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের কোনও বাধা নেই। কিন্তু ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা, যাকে জুলাই গণ আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বলে পরিচয় দিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস, সেই মাহফুজ আলমেরই দাবি, হাসিনার দলকে অংশ নিতে দেওয়া হবে না নির্বাচনে।