Bangla Ekata Mancha: ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে নতুন অরাজনৈতিক মঞ্চ, ১৫ দিনেই নিল একগুচ্ছ কর্মসূচি
Bangla Ekata Mancha: তৃণমূল নেতা তন্ময় ঘোষকে তাঁদের সংগঠনের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি নিজে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু এই সংগঠনের উদ্দেশ্য এখনও সামাজিক।"
কলকাতা: রাজ্যের ১৫টি জেলার ১২০টি জায়গায় সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করল বাংলা একতা মঞ্চ। সেই সঙ্গে দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের বই-খাতা উপহার দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বাংলা একতা মঞ্চ একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে মৌলালি যুব কেন্দ্রে একটি সম্মেলনের মাধ্যমে।
সংগঠনটি নিজেদের অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন হিসেবে দাবি করলেও সংগঠনের মেন্টর কিংবা উপদেষ্টা হিসেবে থাকা অনেকেই সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অন্যতম মেন্টর তন্ময় ঘোষ বর্তমানে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। রাজ্য স্বনির্ভর নিগমের চেয়ারম্যান পদেও আছেন তিনি।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নো ভোট ফর বিজেপি নামে যে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছিল সেই রাজনৈতিক প্রচারের সঙ্গে এই রাজ্যের যাঁরা মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন, তাদের অনেকেই সরাসরি যুক্ত এই সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, নো ভোট ফর বিজেপি প্রচার তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে অনেকটাই সাহায্য করেছিল একুশের নির্বাচনে।
এই খবরটিও পড়ুন
তাই ২০২৬ নির্বাচনের আগে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ এবং তাদের ‘সামাজিক এবং অরাজনৈতিক’ কার্যক্রম নজর টানছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে তন্ময় ঘোষকে তাঁদের সংগঠনের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি নিজে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু এই সংগঠনের উদ্দেশ্য এখনও সামাজিক।” সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে সংবিধানের মূল বক্তব্য সম্পর্কে সচেতন করাই লক্ষ্য বলে দাবি করেন তিনি।
তবে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে, যখন গোটা রাজ্যে রাজনীতির বিভিন্ন রকম সমীকরণ নিয়ে জল্পনা বাড়ছে, সেই সময় এই ধরনের রাজনৈতিক কর্মীদের অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম কতটা রাজনীতি বিচ্ছিন্ন থাকবে সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজনীতির কারবারিরা।