ঘর ভাঙতে সাড়ে ৩ কোটি! শো শেষ হতেই ধূলিসাৎ বিগ বসের অন্দরমহল
শুধু তৈরিতে কোটি টাকা নয়, বিগ বসের ঘর ভাঙতেও খরচা হয় প্রচুর। তথ্য বলছে, প্রতিবার শো শেষের ঠিক এক সপ্তাহ পর বিগ বসের ঘর ভাঙা শুরু হয়। যা চলে এক টানা ১৫ দিন!
১৯ জানুয়ারি শেষ হয়েছে বিগ বস সিজন ১৮। প্রায় ৯ মাস ধরে চলেছে জনপ্রিয় এই গেম শো। যার সঞ্চালক সলমন খান। প্রতিবারই বিগ বসে রাখা হয় বিশেষ থিম। আর সেই থিমকে মাথায় রেখেই তৈরি হয় বিগ বসের ঘর। সূত্র বলছে, প্রতিবার এই ঘর তৈরির পিছনে খরচা হয় কোটি কোটি টাকা। অনেক সময়ই শুধুমাত্র বিগ বসের ঘর তৈরিতে যা খরচ হয়, তা দিয়ে হাসতে হাসতে বলিউডের ছবি তৈরি হতে পারে।
তবে এখানেই রয়েছে ট্যইস্ট। সূত্র বলছে, শুধু তৈরিতে কোটি টাকা নয়, বিগ বসের ঘর ভাঙতেও খরচা হয় প্রচুর। তথ্য বলছে, প্রতিবার শো শেষের ঠিক এক সপ্তাহ পর বিগ বসের ঘর ভাঙা শুরু হয়। যা চলে এক টানা ১৫ দিন!
জানা গিয়েছে, ঘর ভাঙার সময় প্রায় ৩০ থেকে ৪০টা ট্রাক আনা হয়। এই ট্রাকে করেই বিগ বসের ঘরে ব্যবহৃত হওয়া জিনিসপত্র স্থানান্তরিত করা হয়।
এই খবরটিও পড়ুন
বিগ বসের ঘরে থাকা প্রতিযোগীদের নজরে রাখতে, প্রায় ১২০ টি সিসিটিভ ক্যামেরা রাখা হয়। তবে তথ্য বলছে, যেহেতু এবারের সিজনে বিগ বসের অন্দরমহলের মাপ অনেকটাই বড় ছিল, তাই ক্যামেরার সংখ্যাও ছিল এর দ্বিগুণ। শুধু তাই নয়, প্রতিযোগীদের ব্যবহারের জন্য আসবাবপত্রও অন্যবারের তুলনায় বেশি সংখ্যক রাখা হয়েছিল। তথ্য বলছে, বিগ বসের ঘর সাজাতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়, তা দিয়ে একটা সিরিয়ালের সেট তৈরি হয়ে যাবে।
বিগ বসের ঘরে জিমখানাও রাখা হয়। যেখানে প্রতিযোগীরা নিয়মিত কসরৎ করে থাকেন। তবে বিগ বসের এই জিমের সমস্ত খরচা বহন করেন সলমন খান। জিমের সমস্ত যন্ত্রপাতি তিনিই দেন বিগ বসের ঘরে।