Hit and Run: ‘টানা ৪৮ ঘণ্টা ডিউটি করেছিলেন’, হিট অ্যান্ড রান মামলায় সওয়াল ধৃত জুনিয়র ডাক্তারের আইনজীবীর
Hit and Run: শনিবার রাত ৯টা নাগাদ অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার দেবজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়। যা জামিনযোগ্য অপরাধ।
কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের কখনও টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। কখনও তার চেয়ে বেশি হাসপাতালে থাকতে হয়। আরজি কর কাণ্ডের পর এই নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল। এবার বিটি রোডে হিট অ্যান্ড রান মামলায় অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারের জামিনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে সেই যুক্তিই তুলে ধরলেন তাঁর আইনজীবীরা। ধৃত জুনিয়র ডাক্তার দেবজিৎ বিশ্বাসের আইনজীবারা বলেন, একটানা ৪৮ ঘণ্টা কাজ করার পর বাড়ি ফিরছিলেন তাঁদের মক্কেল। ক্লান্তিতে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গতকাল। বিটি রোডে শ্যামবাজার থেকে সিঁথি মোড়ে যাওয়ার লেনে একটি ভ্যানে ধাক্কা মারে একটি প্রাইভেট গাড়ি। দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক জগদীশের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, দুর্ঘটনার পর চালক গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সেইসময় দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে। আশপাশে জটলা হয়ে যাওয়ায় আর গাড়ি নিয়ে পালাতে পারেননি অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার। গাড়ি রেখেই পালান তিনি।
গতকাল রাত ৯টা নাগাদ অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার দেবজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়। যা জামিনযোগ্য অপরাধ।
এই খবরটিও পড়ুন
অভিযুক্তের আইনজীবী বিনয় সাউ বলেন, তাঁর মক্কেল আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার। টানা ৪৮ ঘণ্টা ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ হয়ে এসেছিল। তার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছিল। জামিনযোগ্য অপরাধ হওয়ায় তাঁর জামিনের আবেদন জানান। ১ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেয় শিয়ালদহ আদালত। এদিন অভিযুক্তের পরিবার টানা ৪৮ ঘণ্টা ডিউটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।