Jalpaiguri: মৃত্যুর ২ দিন পর গ্রামে প্রসূতির দেহ, কান্নায় ভেঙে পড়ল গ্রামবাসী
Jalpaiguri: মৃতদেহ নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে প্রথমে ময়নাগুড়িতে থাকা প্রসূতির বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রয়েছে তাঁর শিশু পুত্র। এরপর সেখান থেকে রাতে বোয়ালমারি গ্রামে দেহ নিয়ে আসা হয়। শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে। কান্নায় ভেঙে পড়ে গ্রামবাসী।
জলপাইগুড়ি: যমে-মানুষে লড়াই শেষ হয়েছে দু’দিন আগে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে প্রসবের পর স্যালাইন ইঞ্জেকশন নিয়ে কিডনি বিকল গিয়েছিল জলপাইগুড়ির বোয়ালমারি নন্দনপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা শান্তনা রায়ের। এরপর তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হলে গত ৩ সপ্তাহ ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর কী কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে তা জানতে ময়নাতদন্ত করাতে চায় পরিবার। অভিযোগ সেখানেও গড়িমসি। গত দু’দিন ধরে তাঁর দেহ রেখে দেওয়া হয় ফ্রিজারে। প্রচণ্ড হয়রানির শিকার হয় পরিবার।
বিষয়টি টিভি নাইন বাংলায় সম্প্রচারিত হতেই রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে যায় সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র, সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সমন পাঠক-সহ অন্য নেতা ও কর্মীরা। ভিডিয়োগ্রাফি করে ময়নাতদন্তের দাবিতে মেডিক্যাল কলেজের মর্গে থাকা পুলিশদের ঘেরাও করেন। চাপে পড়ে প্রশাসন। এরপর বিকেলের দিকে ময়নাতদন্ত করে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
মৃতদেহ নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে প্রথমে ময়নাগুড়িতে থাকা প্রসূতির বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রয়েছে তাঁর শিশু পুত্র। এরপর সেখান থেকে রাতে বোয়ালমারি গ্রামে দেহ নিয়ে আসা হয়। শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে। কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা। এরপর নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি মাসকলাই বাড়ি মহাশ্মশানে। রাত ১১ টা নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এদিন দিনভর তাঁদের পাশে টিম নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র।
এই খবরটিও পড়ুন
ময়নাতদন্ত ও শেষকৃত্যে সহযোগিতার জন্যে সিপিএম নেতাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মৃতার আত্মীয় প্রভাত মাতব্বর। তিনি বলেন, ওঁরা পাশে না থাকলে এদিনও ময়নাতদন্ত হত না।