Gold Smuggling: বিমানবন্দরে কাস্টমকে ঘোল খাওয়াল ২ বাংলাদেশি যুবক, শেষে পোড়ানো হল তাদের জামা-প্যান্ট

Bangladesh: দুই যুবকের জামা-কাপড় ও ব্যাগে তল্লাশি চালিয়েও কোনও কিছু পাননি কাস্টমস অফিসাররা। তবে তল্লাশি চালানোর সময়ই এক আধিকারিকের মনে হয় দুই যুবকের পরনের জামা-কাপড়ের ওজনই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।

Gold Smuggling: বিমানবন্দরে কাস্টমকে ঘোল খাওয়াল ২ বাংলাদেশি যুবক, শেষে পোড়ানো হল তাদের জামা-প্যান্ট
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 12:50 PM

ঢাকা: বিমানবন্দরে চেক ইন হয়ে গিয়েছিল। শুধু অপেক্ষা ছিল সিকিউরিটি পার করে বিমানে ওঠার। কিন্তু তার আগেই আটকাল কাস্টম বিভাগের আধিকারিকরা। দুই যুবকের প্যান্টের পকেটে হাত দিয়েই পাওয়া গেল এক গোছা চুড়ি। ওজন ১০০ গ্রাম। অপর যুবকের পকেটেও হাতাতে পাওয়া গেল ছয়টি চুড়ি। এরপরই আটক করা হয় ওই দুই যুবককে। আটক যুবকের নাম মহম্মদ জাকির হোসেন ও মহম্মদ সোলামান। কাস্টমস বিভাগের সন্দেহ ছিল, এতটুকু সোনা নয়, ওই যুবকের কাছে আরও সোনা লুকোনো রয়েছে। কিন্তু তারা কিছুতেই মুখ খুলছে না।

দুই যুবকের জামা-কাপড় ও ব্যাগে তল্লাশি চালিয়েও কোনও কিছু পাননি কাস্টমস অফিসাররা। তবে তল্লাশি চালানোর সময়ই এক আধিকারিকের মনে হয় দুই যুবকের পরনের জামা-কাপড়ের ওজনই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। বারংবার প্রশ্ন করা হলেও, ওই দুই যুবক মুখ খুলতে চাননি। পরে তাদের আলাদাভাবে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানান, জামা-প্যান্টের ভিতরে সোনার প্রলেপ লাগানো রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমস অফিসাররা তাদের জামা-প্যান্ট খোলান। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

এদিকে, হাজার চেষ্টা করেও জামা-প্যান্ট থেকে সেই সোনার প্রলেপ বের করা যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়েই কাস্টমস অফিসাররা দ্বারস্থ হন স্বর্ণকারদের। তাদের গোটা বিষয়টি জানালে জামা-প্যান্ট পোড়ানোর পরামর্শ দেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে পোড়ানো হয় দুই যুবকের জামা-প্যান্ট। উদ্ধার হয় ১ কেজি ৩৪৫ গ্রাম সোনা, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা।

কাস্টমস আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রথমে ওই দুই যুবককে দেখে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়নি। কিন্তু প্যান্টের পকেট থেকে সোনার চুড়ি উদ্ধার হতেই তল্লাশি করা হয়। তাতেই রহস্যভেদ হয়।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহম্মদ জাকির হোসেন ও মহম্মদ সোলামানের বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লায়। তবে বহু বছর ধরেই তারা সৌদি আরবে থাকেন, সেখানে রং মিস্ত্রির কাজ করেন তারা। যখনই দেশে ফিরতেন, তখন বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সোনা পাচারের কাজও করতেন। এবার সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে সোনা পাচার করছিলেন অভিনব পদ্ধতিতে।