Bangladesh News: বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা বিপর্যস্ত, কোষাগার শূন্য হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ শেখ হাসিনার
Bangladesh: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই সেদেশের সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সরকার মানুষের চাহিদা পূরণের যথাযথ চেষ্টা করছে কিন্তু তাসত্ত্বে সরকারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) সহ নানা কারণে বাংলাদেশ (Bangladesh) চরম আর্থিক দূরাবস্থার মুখোমুখি, সংসদে দাঁড়িয়ে কার্যত একথা স্বীকার করে নিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। শরৎকালীন অধিবশেনের সমাপ্তি ভাষণে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনা জানিয়েছেন, আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে যাবতীয় চাহিদা পূরণের চেষ্টা কোনও ঘাটতি রাখছে না বাংলাদেশ সরকার। দেশের আর্থিক দুরাবস্থা নিয়ে মুখ খুলে হাসিনা বলেন, “শুধুমাত্র আমাদের দেশই নয়, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও অর্থনৈতিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে পরিস্থিতি সামলানো খুবই কঠিন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফল আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যবৃদ্ধি এখনও মাত্রারিক্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই সেদেশের সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সরকার মানুষের চাহিদা পূরণের যথাযথ চেষ্টা করছে কিন্তু তাসত্ত্বে সরকারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, সবক্ষেত্রেই ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এবং অন্যক্ষেত্রের জন্য বরাদ্দ বাজেট ব্যবহার করা হচ্ছে। জ্বালানি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারকে অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে যাঁর কারণে সরকারের কোষাগারেও ব্যাপক চাপ পড়ছে। সংসদ অধিবেশনে বিরোধী সাংসদদের প্রশ্নের মুখে এভাবেই জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সংসদ অধিবেশন চলাকালীন শাসক আওয়ামি লিগের সাংসদরা বলেন, দেশে কোনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে কারণে, দেশের শীর্ষ আদালত এই ব্যবস্থাকে খারিজ করে দিয়েছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়ে আস্ফালন করলেও কোনও লাভ হবে না বলেই জানিয়েছেন আওয়ামি লিগের সাংসদরা।
অন্যদিকে দেশের আর্থিক পরিস্থিতির জন্য প্রকারন্তরে শেখ হাসিনা সরকারকে দায়ী করেছে বিরোধী বিএনপি। উদ্বেগের সুরে বিএনপি সাংসদরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার এই অবস্থায় ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফের থেকে ঋণ নেওয়া আরও বিপজ্জনক হবে। বিএনপির অভিযোগ, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে এবং এই পাচারে শাসকদল আওয়ামি লিগ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলেও জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে আরেক বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দাবি, দেশের সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলার রাস্তা না খুঁজে আওয়ামি লিগ ও বিএপি ক্ষমতা দখলের লড়াইতে নেমেছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের আর্থিক পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে কি না, সেটাই দেখার।