Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: রোহিঙ্গাদের অভিধানে নেই কন্ডোম বা গর্ভনিরোধক বড়ি, শিবিরে প্রতিদিন জন্মাচ্ছে ৯৫ শিশু

Bangladesh Rohingya: পরিবার পরিকল্পনা বলে কোনও শব্দ বন্ধ এখনও পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরগুলির অভিধানে জায়গা করে নিতে পারেনি। প্রতিদিন গড়ে জন্ম নেয় ৯৫ জন করে শিশু।

Bangladesh: রোহিঙ্গাদের অভিধানে নেই কন্ডোম বা গর্ভনিরোধক বড়ি, শিবিরে প্রতিদিন জন্মাচ্ছে ৯৫ শিশু
রোহিঙ্গাদের পরিবার প্রতি গড় সদস্য সংখ্যা ৫
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 15, 2023 | 12:16 AM

ঢাকা: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির অন্যতম প্রধান সমস্যা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ। আর বর্তমানে এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবিরগুলি। ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের জেরে, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কয়েক লক্ষ মানুষ পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। তারপর থেকে এই আশ্রয়শিবিরগুলিতে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। এর প্রধান কারণ, রোহিঙ্গাদের মধ্যে কন্ডোম বা গর্ভনিরোধক বড়ির মতো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহ অত্যন্ত কম। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলিতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯৫টি করে শিশু জন্ম নেয়। তবে রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা ব্যক্তিবর্গের মতে, অবস্থাটা দিন দিন পাল্টাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যেও পরিবার পরিকল্পনা, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা জনসংখ্যা

বাংলাদেশ সরকার এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা, ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশন ফর রেফিউজিস বা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে মোট নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯,৫৪,৭০৭। আর মোট পরিবারের সংখ্যা ১,৯৭,৩০৩। এর মধ্যে ৩ শতাংশ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১০ জনের বেশি। আর ১০ শতাংশ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮ থেকে ৯ জন। ২৩ শতাংশ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ থেকে ৭ জন। ২৮ শতাংশ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১ থেকে ৩ জন। সব মিলিয়ে গড়ে প্রতি রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫। কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলিতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের ৫২ শতাংশই হল শিশু, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৭ বছরের কম। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, পরিবার পরিকল্পনা বলে কোনও শব্দ বন্ধ এখনও পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরগুলির অভিধানে জায়গা করে নিতে পারেনি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট

বস্তুত গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, রোহিঙ্গা শিবিরগুলির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে, বাংলাদেশের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সেই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানেই জনানো হয়েছিল যে, রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯৫ জন করে শিশুর জন্ম হয়। আর এই ভাবে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা ১২-১৩ লক্ষে পৌঁছে যেতে পারে।

বাড়ছে এইচআইভি

শুধু অনিয়ন্ত্রিতভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিই নয়, অসুরক্ষিত যৌনতার কারণে রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে এইচআইভি বা এইডস, হেপাটাইসিস সি, ডিপথেরিয়ার মতো রোগের প্রকোপও বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত কক্সবাজার এলাকায় ৭১০ জন মানুষকে এইচআইভি পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬১২ জনই রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬১ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে এইচআইভির কারণে।