Dengue in Bangladesh: বাংলাদেশে উদ্বেগ বাড়াচ্ছ ডেঙ্গি পরিস্থিতি, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বর্ষায় জল জমে যাতে মশার বংশবৃদ্ধি না ঘটে সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রোগীর চিকিৎসা পরিষেবার জন্য বিশেষ নিয়ম আনা হচ্ছে।
ঢাকা: বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। ২০১৯ সালের থেকেও পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্ষার আবহাওয়ায়, ঘন জনবসিত পূর্ণ বাংলাদেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে মশাবাহিত এই সংক্রমণ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসেবে ডেঙ্গির জেরে চলতি বছরে মৃত্যু হয়েছে ২২৫ জনের। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত ১০ জনের মধ্যে ৫ জনই ঢাকার বাসিন্দা। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩৬১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ১২২ জন।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৭০২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শুধু ঢাকার বাসিন্দা রয়েছেন ২৪ হাজার ৭৯৮ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ হাজার ১০ জন।
গত কয়েক বছর ধরেই ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বাংলাদেশে। গত বছর ডেঙ্গিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা গিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ বছর সংক্রমণের যে পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে অতীতের বছরগুলির রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বর্ষায় জল জমে যাতে মশার বংশবৃদ্ধি না ঘটে সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রোগীর চিকিৎসা পরিষেবার জন্য বিশেষ নিয়ম আনা হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি না করে গুরুতর অবস্থার রোগীদের ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকি বলেছেন, “মশাবাহিত রোগ দমনে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। মশার বংশবৃদ্ধি আটকাতে সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি দ্রত সংক্রমণ চিহ্নিতকরণেও জোর দেওয়া হয়েছে।” শুরুতে চিহ্নিত হলে মৃত্যু আশঙ্কা অনেকটাই কম বলে দাবি করেছেন তিনি।