Rabi Thakur : আবর্জনা থেকে যথাস্থানে মাথা, ফের ফিরল রবীন্দ্রনাথের ‘প্রতিবাদী’ ভাস্কর্য
Rabi Thakur : সেন্সরশিপ ও নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বইমেলার প্রবেশমুখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিবাদী ভাস্কর্যটির সরিয়ে নেওয়ার পর সেটির খণ্ডাংশ উদ্ধার করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই জায়গাটিতে 'গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ' ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা।
ঢাকা : ‘গুম’ হয়ে যাওয়ার ২ দিন পর আবারও ঢাকার রাজপথে ফিরে এলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য। এবারও স্থাপন করা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে। একদিন আগেই ভাস্কর্যের একাধিক খণ্ড উদ্ধার হয়েছিল নানা জায়গা থেকে। খণ্ড-বিখণ্ড বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে জোড়াতালি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য ফের স্থাপন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে, এবার ভাস্কর্যের মাথাটি বাম দিকে কাত করে রাখা হয়েছে।
মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর সেন্সরশিপ এবং সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ভাস্কর্যটি কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে স্থাপন করা হয়। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার এই ভাস্কর্য তৈরি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। গত বৃহষ্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল টিম। যদিও কোথায় তা রাখা হয়েছিল তা বলা হয়নি। ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে যে জায়গায় সেটি ছিল সেখানে ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’ ব্যানার ঝুলিয়ে দেন পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রূপকার তথা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য আবর্জনায় ফেলে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সে দেশের নাগরিক মহলে। গত দুই দিন ধরে আলোচনায় থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে অপসারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রোক্টরিয়াল কর্তৃপক্ষ। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রোক্টরিয়াল কর্তৃপক্ষ এটি অপসারণ করেছে। অপসারনের পর পুরো ভাস্কর্য পাওয়া না গেলেও মাথার অংশটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি গেইটের মাঝামাঝি সেন্ট্রাল লাইব্রেবির ঠিক উল্টোপাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে পাওয়া যায়।
এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে ফের তা স্থাপন করা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। কিন্তু, ভাস্কর্যটির মাথা বাম দিকে কেন কাত করে রাখা হয়েছে? এ বিষয়ে পড়ুয়ারা জানান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাইতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে ‘গুম’ হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ কাজের প্রতিবাদ হিসেবে এবার মাথা কাত করে রাখা হয়েছে। এবার রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যের পাশে দুটি ব্যানার দেওয়া হয়েছে। যার একটিতে লেখা, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সব ধরনের সেন্সরশিপ বন্ধ কর’, আরেকটিতে লেখা ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’।