Adani Group: বাংলাদেশে ফের আদানির বৈদ্যুতিক চুক্তি বাতিলের দাবি

এই চুক্তিকে অসম, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি।

Adani Group: বাংলাদেশে ফের আদানির বৈদ্যুতিক চুক্তি বাতিলের দাবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2023 | 7:20 PM

ঢাকা: ভারতীয় শিল্পসংস্থা আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি বাতিলের দাবি এবং পররামর্শ দিচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও সংগঠন। এবার চুক্তি বাতিলের পরার্মশ দিলো ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। চুক্তি বাতিল না হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত আদানি গ্রুপের হস্তগত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে টিআইবি। শেয়ার ও হিসাব জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত ভারতের আদানি পাওয়ার থেকে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এই চুক্তিকে অসম, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি। তারা বলেছে, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তার বোঝা দেশের জনগণকে বইতে হবে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি জানায়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, গোড্ডায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনতে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি দাম দিতে হবে। আবার এই বেশি দামে আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে- এমন বাধ্যবাধকতার কথাও রয়েছে পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টে (পিপিএ)। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “শেয়ার বাজারে ফাঁকিবাজি এবং হিসাবপত্রে কারসাজি ও জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত আদানি গ্রুপের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে পিডিবির এই চুক্তি আন্তর্জাতিকভাবে নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণে অসম, অস্বচ্ছ এবং বাংলাদেশের জন্য অভূতপূর্বভাবে বৈষম্যমূলক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।” তিনি আরও জানান, চুক্তিটিতে বাংলাদেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে আদানি গোষ্ঠীর স্বার্থ এমনভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাত এই প্রতিষ্ঠানের হাতে কুক্ষিগত হয়ে যেতে পারে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কয়লা ব্যবহৃত হবে তা আসবে আদানির মালিকানাধীন ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত খনি থেকে। যা আদানির জাহাজে এসে খালাস হবে আদানির মালিকানাধীন বন্দরে এবং পরিবহণ করা হবে আদানির মালিকানাধীন রেলে করে। জ্বালানি খরচসহ এই পুরো প্রক্রিয়ার ব্যয় বইতে হবে বাংলাদেশকে, যা বৈশ্বিক বিদ্যুৎ খাতের অভিজ্ঞতায় খারাপ দিক। ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের জন্য দেশের অন্য যেকোনো সরবরাহকারী থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের তুলনায় অস্বাভাবিক বেশি হারে মূল্য দিতে হবে।“ এর চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থে বাতিল হওয়া উচিত।