Pelosi in Taiwan: তাইওয়ানে পা রাখলেন মার্কিন স্পিকার, ধেয়ে এল ২১টি চিনা যুদ্ধবিমান!
Pelosi in Taiwan: মঙ্গলবার (২ অগস্ট) মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের মাটিতে পা রাখতেই সামরিক পদক্ষেপের অঙ্গীকার করল চিন।
বেজিং: ‘টার্গেটেড মিলিটারি অ্যাকশন’ অর্থাৎ, বেছে বেছে তাইওয়ানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিল চিনা পিএলএ। মঙ্গলবার (২ অগস্ট) চিনা হুমকিকে উপেক্ষা করেই তাইওয়ানের মাটিতে পা রেখেছেন মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এই সফর ঘিরে অনেক আগে থেকেই ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের উত্তেজনা বাড়ছিল। চিনের কড়া সতর্কতা সত্ত্বেও পেলোসির এই সফরের পর, যে কোনও মুহুর্তে তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে বেজিং – এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র উ কিয়ান, মার্কিন স্পিকারের এই সফরের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “এর মোকাবিলা করতে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপ এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী’ বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে ব্যর্থ করতে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং একের পর এক লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে সামরিক অভিযান শুরু করবে।” পেলোসির বিমান তাইওয়ানে অবতরণ করার পর, চিনের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত ‘এক চিন’ নীতিকে বিকৃত করছে, লঙ্ঘন করছে এবং অন্তঃসারশূন্য করে তুলছে। আগুন নিয়ে খেলার মতো এই পদক্ষেপগুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক। যারা আগুন নিয়ে খেলবে তারা সেই আগুনেই ধ্বংস হবে।”
Welcome to #Taiwan, @SpeakerPelosi! Thank you & the congressional delegation for traveling all the way to show your support. JW ▶️https://t.co/PFmnj2qNNO pic.twitter.com/xmelGWaCcm
— 外交部 Ministry of Foreign Affairs, ROC (Taiwan) ?? (@MOFA_Taiwan) August 2, 2022
বরাবরই তাইওয়ান দ্বীপকে তাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে বেজিং। তবে এখনও পর্যন্ত তারা দ্বীপটি দখল করার জন্য কোনও রকম শক্তি প্রয়োগের রাস্তায় হাঁটেনি। তবে, এবারের হুমকি যে শুধু মুখের কথায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, তার প্রমাণ এদিনই মিলেছে। মঙ্গলবারই ২১টি চিনা সামরিক বিমান তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্য দিয়ে উড়েছে বলে দাবি করেছেন তাইপেইয়ের প্রশাসনিক কর্তারা। তাদের দাবি, ন্যান্সি পেলোসি স্ব-শাসিত দ্বীপটিতে বিতর্কিত সফর শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তাইওয়ানকে তাদের নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করছে বেজিং।
তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক টুইট করে বলেছে: “২ অগস্ট, ২০২২ তারিখে পিএলএ-র ২১টি বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম এডিআইজে-তে প্রবেশ করেছে।” এডিআইজে-কে পুরোপুরি তাইওয়ানের আকাশসীমা বলা যাবে না। তাইওয়ানের এই বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্যে মিশে আছে চিনের নিজস্ব বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলও। এমনকি চিনের মূল ভূখণ্ডের কিছু অংশও এর অন্তর্ভুক্ত।
তার আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাইওয়ানের তাইপেই বিমানবন্দরে অবতরণ করেন, মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তাইওয়ানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ইউএস এয়ার ফোর্সের ‘স্পার১৯’ নামে একটি বোয়িং সি-৪০সি জেট বিমানে করে পেলোসি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে তাইপেইয়ে আসেন। মাঝ আকাশ থেকে সেই জেট বিমানটিকে প্রহরা দিয়ে নিয়ে এসেছে তাইওয়ান এয়ার ফোর্সের বেশ কয়েকটি ফাইটার জেট।
তাইওয়ানে অবতরণের কয়েক মিনিট পরই, ন্যান্সি পেলোসি টুইট করেন, “আমাদের প্রতিনিধি দলের তাইওয়ান সফর, তাইওয়ানের প্রাণবন্ত গণতন্ত্রকে সমর্থন করার বিষয়ে আমেরিকার অটল প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করে। তাইওয়ানের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের আলোচনা, মিত্রদের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করে এবং আমাদের যৌথ স্বার্থ সিদ্ধি করে একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্তমহাসাাগরীয় অঞ্চল গঠনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” তাঁর আরও দাবি, এই সফরই শেষ নয়, শীঘ্রই তাইওয়ানে আরও বেশ কয়েকটি মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল সফর করবে। তাঁদের সফর তাইওয়ান সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতিরও পরিপন্থী নয়।