চিন বিরোধিতায় কিছুটা ‘নরম’ বাইডেন!

সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টের ৭০ পাতা ধরে শুধুই চিন বিরোধিতা। যেখানে বলা হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বায়ত্বশাসন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে আঘাত হানছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি।

চিন বিরোধিতায় কিছুটা 'নরম' বাইডেন!
বাইডেন ও জিনপিং। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Nov 20, 2020 | 12:40 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: চিন (China) প্রসঙ্গে সুর নরম করলেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। সাফ বুঝিয়ে দিলেন ট্রাম্প আমলের চিনকে চাপে রাখার নীতিতে তিনি হাঁটবেন না। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথম দিনই তিনি আমেরিকাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফেরাবেন।

ট্রাম্প আমলে চিন বিরোধিতা চরমে উঠেছিল। সেই প্রসঙ্গে ডেলাওয়ারে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, “চিনকে শাস্তি দেওয়ার বিষয় নয়। চিনকে এটা বোঝাতে হবে যে তাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে।” অর্থাৎ চিন নিয়ম মেনে চললেই বরফ গলবে। যেখান থেকে বিশেষজ্ঞরা আন্দাজ করছেন বাইডেন আমলে চিন বিরোধিতার আঁচ ট্রাম্পের মতো তীব্র হবে না। প্রচার সভা থেকেই বাইডেন বলেছিলেন হোয়াইট হাউসের প্রথম দিনই তিনি আমেরিকাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফেরাবেন। যেখানে এখন সবচেয়ে বেশি অনুদান দেয় চিন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে চরমে উঠেছিল চিন ও আমেরিকার সংঘাত। একাধিক শুল্কে বেজিংকে জর্জরিত করেছিলেন ট্রাম্প। চিনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে করোনা মহামারীর সময়ই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুদান বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও করোনা ছড়ানোর দায়ে একাধিক বার সরাসরি নিশানা করেছেন চিনকে। কিন্তু কিছুটা হলেও নরম হতে পারেন বাইডেন। সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে তাঁর একের পর এক পদক্ষেপ। এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল করে কড়া নজরদারি আমেরিকার, প্রভাব পড়তে পারে ভারতের ব্যবসায়

চিন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। ট্রাম্প আমলের শেষ দিন পর্যন্ত যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকার সঙ্গে চিন সংঘাত অব্যাহত থাকবে তার প্রমাণ দিচ্ছে হোয়াইট হাউসের রিপোর্টই। সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টের ৭০ পাতা ধরে শুধুই চিন বিরোধিতা। যেখানে বলা হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বায়ত্বশাসন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে আঘাত হানছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। ভারতের সঙ্গে লাদাখ উত্তেজনার দায়ও চিনের ঘাড়েই চাপিয়েছে আমেরিকা। এ ছাড়া করোনা ছড়ানোর দায়ে সরাসরি চিনের শাসক দলকে ফের বিঁধেছে হোয়াইট হাউস। অর্থাৎ বিষয়টা স্পষ্ট,বাইডেন এলে পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু তার আগে চিন বিরোধিতার চরম সুরে কোনও বদল চাইছেন না ট্রাম্প।