China: মেয়ে রোজ ফিরত ঘামে ভিজে, ক্লান্ত হয়ে, স্কুলে খোঁজ নিয়ে বাবা জানলেন…

China school: ২১ দিন ধরে এই জঘন্য কাজ চললেও, প্রথমে বিষয়টি জানতেই পারেননি ইউয়ের পরিবার। তাঁর মেয়ে রোজ ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরত। স্কুল থেকে ফিরে সবসময় অত্যন্ত ক্লান্ত থাকত সে। এক রাতে, সে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে পড়েছিল। বাবাকে জানিয়েছিল...

China: মেয়ে রোজ ফিরত ঘামে ভিজে, ক্লান্ত হয়ে, স্কুলে খোঁজ নিয়ে বাবা জানলেন...
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2023 | 7:56 PM

বেজিং: বয়স মাত্র ৬ বছর। এই ছোট্ট মেয়েটিকেই তিন সপ্তাহ ধরে থালা-বাসন ধুতে বাধ্য করেছে তার স্কুল, এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন তার বাবা। এই নিয়ে তিনি স্কুলে অভিযোগ দায়ের করার পর, তাঁর মেয়েকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চিনে। চিনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে এক ভিডিয়ো আপলোড করে, এই গুরুতর অভিযোগ করেছেন মেয়েটির বাবা, ইউ।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিন্ডারগার্টেনে প্রতিদিন অন্তত ২৫টি শিশুর এঁটো বাসন ধুতে হত শিশুটিকে। ২১ দিন ধরে এই জঘন্য কাজ চললেও, প্রথমে বিষয়টি জানতেই পারেননি ইউয়ের পরিবার। তাঁর মেয়ে রোজ ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরত। স্কুল থেকে ফিরে সবসময় অত্যন্ত ক্লান্ত থাকত সে। এক রাতে, সে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে পড়েছিল। বাবাকে জানিয়েছিল, সে আর কিন্ডারগার্টেনে যেতে চায় না। বাবা-মা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। জানতে চেয়েছইলেন, স্কুলে কি কিছু ঘটেছে? ছোট্ট মেয়েটি জানিয়েছিল, রোজ স্কুলে গিয়ে থালা-বাসন মাজতে মাজতে সে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। অন্য বাচ্চারা যখন খেলাধুলো করে, তখন তাঁকে একা একা বাসন মাজতে হয়।

তার শিশুকন্যাকে স্কুলে বাসন মাজানো হচ্ছে জনতে পেরে চমকে গিয়েছিলেন ইউ। তবে, তাঁর চমকের আরও বাকি ছিল। কিন্ডারগার্টেনে গিয়ে এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান তিনি। মেয়ের শিক্ষক ইউকে সাফ জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে বড্ড বেশি ‘প্রাণবন্ত’। কিছুতেই শান্ত করা যায় না তাঁকে। একমাত্র ক্লান্ত হয়ে গেলেই সে ঘুমিয়ে পড়ে। আর নিয়মিত বাসন মাজলে তাঁর মেয়ে মানসিক এবং শারীরিকভাবে শক্তিশালী হবে। স্বাভাবিকভাবেই কিন্ডারগার্টেনের এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি ইউ। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। এরপর থেকেই স্কুলে তাঁর মেয়েকে নানাভাবে হেনস্থা করা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এমনকি বিষয়টি আগে থেকে মেয়েটির অভিভাবককে জানানোও হয়নি। আগে থেকে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। শিশুটির ঠাকুর্দা-ঠাকুমা গিয়েছিলেন নাতনিকে স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে। সেই সময় তাঁদের জানানো হয়, তাঁদের নাতনিকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। ইউ জানিয়েন, এখনও পর্যন্ত, কিন্ডারগার্টেনের কোনও শিক্ষক তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। কেন তাঁর মেয়েকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হল, তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, কিন্ডারগার্টেন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইউ তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করছেন। তাই ইউয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। কিন্ডারগার্টেন কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, কখনই শিশুদের প্রতি কোনও অবৈধ বা অনুপযুক্ত আচরণ করা হয়নি। কোনও শিক্ষার্থী যদি স্কুলের নিয়ম না মানে, তাহলে তাকে বহিষ্কারের অধিকার আছে স্কুলের। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।