Bangladesh News: পিকনিক করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, নদীতে ডুবে মৃত্যু দম্পতির
Bangladesh News: পিকনিক করতে গিয়ে নদীতে ডুবে মৃত্যু দম্পতির। এখনও ব্যক্তির দেহ মেলেনি।
ঢাকা: হালকা হালকা শীত পড়েই গিয়েছে। অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন পিকনিকে। সেরকমই ৪৫ জন সদস্য নিয়ে পিকনিকে গিয়েছিল একটি পরিবার। হইহই করে এই পিকনিকে গেলেও পিকনিক থেকে ফেরাটা ছিল দুঃখের। কারণ এই পিকনিকে গিয়ে হারাতে হল নিজের পরিবারেরই দুই সদস্যকে। পিকনিকে যাওয়ার সময় হয়ত এরকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি পরিবারের কেউ। পিকনিক করতে গিয়ে পদ্মা নদীতে (Padma River) তলিয়ে যান ৩৮ বছর বয়সী ব্যাঙ্কের এক কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন কাদের ওরফে রূপম এবং তাঁর ৩২ বছরের স্ত্রী মানজুরি তানভির ওরফে নিশি। তলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডুবুরি নামিয়ে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। মানজুরিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই মারা যান তিনি। কিন্তু তাঁর স্বামী রূপমকে পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে মানজুরির এক ভাই জানান, রূপম চিৎকার করছিলেন, “ভাই বাঁচান। নিশি ডুবে গেছে,আমিও ডুবে যাচ্ছি…”। বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার সানজামুল ইসলাম তাঁর পরিবার নিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ি পৌরসভার সুলতানগঞ্জ মহল্লার বিপরীতে বালুগ্রাম এলাকায় পিকনিকে যান। সেখানেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁর বোন ও ভগ্নিপতি। সেখান পদ্মা নদীত ডুবে তাঁর বোন মারা গিয়েছেন। এবং ভগ্নিপতির দেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁর ভগ্নিপতি রূপম উত্তরা ব্যাঙ্কের কিশোরগঞ্জ শাখায় কাজ করতেন।
মৃতের ভাই জানিয়েছেন, দুপুরে নদীর চড়ে রান্না হচ্ছি। সেই সময় সবাই নদীতে নেমে স্নান করছিলেন। তখনি হঠাৎ ভগ্নিপতির চিৎকার শুনতে পান। রূপম বলছেন, ‘ভাই বাঁচান, নিশি ডুবে গেছে, আমিও ডুবে যাচ্ছি।’ এই কথা শুনেই কোনও কিছু না ভেবে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনীও উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে। দমকলের গোদাগাড়ি স্টেশনের কর্মকর্তা নমির উদ্দিন বলেছেন, প্রথমে ওই দম্পতির বাচ্চা ডুবে যাচ্ছিল। তখন শিশুকে উদ্ধার করতে বাবা নদীতে নামেন। তা দেখে স্ত্রীও জলে নেমে পড়েন। তারপর দু’জনেই ডুবে যাচ্ছিলেন। তখন এক মাঝি নিশির চুলের মুঠি ধরে তাঁকে তুলে ধরেন। তবে তাঁর স্বামীর নাগাল পাননি সেই মাঝি। নিশিকে যখন উদ্ধার করা হয় তখনও শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গোদাগাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় নিশির। তবে সন্ধে পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও দেহ মেলেনি স্বামীর। দেহের খোঁজে শনিবার ফের একবার দমকল বাহিনী তল্লাশি চালাবে বলে জানা গিয়েছে।