Modi in USA: ‘আমাদের ডিএনএ-তে গণতন্ত্র, বৈষম্যের প্রশ্নই ওঠে না’, সমালোচকদের থামিয়ে দিলেন মোদী

Democracy is in India's DNA: মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সাংবাদিক, ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। উপযুক্ত জবাবে সমস্ত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

Modi in USA: 'আমাদের ডিএনএ-তে গণতন্ত্র, বৈষম্যের প্রশ্নই ওঠে না', সমালোচকদের থামিয়ে দিলেন মোদী
হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2023 | 9:09 AM

ওয়াশিংটন: “আমাদের ডিএনএতে রয়েছে গণতন্ত্র, জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের কোনও প্রশ্নই নেই।” বৃহস্পতিবার (২২ জুন), মার্কিন ক্ষমতার কেন্দ্র হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পাশে নিয়ে এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং বাকস্বাধীনতা নিয়ে এক মার্কিন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ভারতের বৈচিত্রময় গণতন্ত্র তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। দুই নেতাই একজন একজন করে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেন। ভারতের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে উদ্বেগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আমার খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। আমাদের সম্পর্কের সর্বশ্রেষ্ঠ অংশই হল গণতন্ত্র। আমদের সম্পর্ক একেবারে সোজাসাপ্টা, কোনও ভনিতা নেই। আমরা একে অপরকে সম্মান করি।”

নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রভেদ নির্বিশেষে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। দুই দলই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে তাঁর বক্তব্যশুনতে আগ্রহী ছিলেন। তবে, এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বার্নি স্যান্ডার্স, কোরি বুশ, ইলহান ওমর-সহ বেশ কয়েকজন মার্কিন নেতা ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ এবং গণতন্ত্রিক অধিকার হরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকের সময় এই বিষয়টি তোলার জন্য তাঁরা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, বৃহস্পতিবার ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বরূপ তুলে ধরে তাদের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে মোদী বলেন, “ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ভারত এবং আমেরিকা আমাদের দুই দেশের ডিএনএতেই গণতন্ত্র রয়েছে। গণতন্ত্র রয়েছে আমাদের চেতনায়। আমাদের সংবিধানে গণতন্ত্রের কথা আছে। তাই জাতি, সম্প্রদায় বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের প্রশ্নই ওঠে না।”

ভারত-মার্কিন সম্পর্কের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও মার্কিন অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা আকাশের থেকেও বড়। ভারতীয়-মার্কিন নাগরিকরাই ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে আসল শক্তি।” জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমরা প্রকৃতির শোষণে বিশ্বাস করি না। জি২০ দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভারতই জি২০ সম্মেলনে দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। আমরা এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিরন্তর কাজ করছি। ভারত এখন একটি সবুজ শক্তি কেন্দ্র। আমরা একটি আন্তর্জাতিক সৌরশক্তির জোট শুরু করেছি। আজ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ আমাদের সঙ্গে কাঁদে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য চিন্তিত। তাই, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্কট থেকে বিশ্বকে রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছি।”