Mehul Choksi: অ্যান্টিগুয়ার আদালতে বড় জয় মেহুল চোকসির, ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা করেও কি পার পেয়ে গেলেন?
Antigua-Barbuda: আর্থিক দুর্নীতি করার পর থেকেই ভারত থেকে গায়েব হয়ে যান চোকসি। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগুয়া-বার্বুডায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকেই এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র তাঁর ঠিকানা।
রোসেউ: একের পর এক ব্যাঙ্কে প্রতারণা, ১৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)। বহু খোঁজাখুঁজির পর বছর দুই আগে জানা গিয়েছিল, অ্যান্টিগুয়া-বার্বুডায় (Antigua-Barbuda) গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন মেহুল চোকসি। কিউবা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে ডমিনিকার পুলিশ। এরপর থেকেই অ্যান্টিগুয়ার হাইকোর্টে চোকসির মামলার শুনানি চলছিল। পলাতক ব্যবসায়ীকে ভারতে ফেরানোর জন্যও একাধিকবার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই চেষ্টাই বিফল হয়ে গেল। শুক্রবার অ্য়ান্টিগুয়া-বার্বুডা হাইকোর্টের তরফে মেহুল চোকসির স্বপক্ষেই রায় দিয়ে জানানো হয়, মেহুল চোকসিকে অ্যান্টিগুয়া-বার্বুডা থেকে সরানো যাবে না।
ডমিনিকার সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা গিয়েছে, মেহুল চোকসি একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় তিনি দাবি করেন, ২০২১ সালে গ্রেফতারির পর পুলিশের হাতে তিনি অমানবিক অত্য়াচারের শিকার হয়েছেন। এই দাবির প্রেক্ষিতে অ্য়ান্টিগুয়ার পুলিশ প্রধান ও অ্য়ান্টিগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের তদন্ত করা উচিত বলে দাবি করা হয়।
চোকসির দাবি, ২০২১ সালের ২৩ মে যেভাবে জোর করে অ্য়ান্টিগুয়া-বার্বুডা থেকে বের করে আনা হয়, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত। এই মামলার শুনানিতেই শুক্রবার আদালতের তরফে জানানো হয়, হাইকোর্টের রায় বা অনুমতি ছাড়া মামলাকারী (মেহুল চোকসি)-কে জোর করে অ্যান্টিগুয়া-বার্বুডা থেকে কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে না।
মেহুল চোকসির ১৩ হাজার কোটির প্রতারণা-
৬৩ বছর বয়সী হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ভারতের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনকে প্রতারণা করার অভিযোগে সিবিআইয়ের তরফে মেহুল চোকসি ও তাঁর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। সিবিআইয়ের দাবি, চোকসি ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদী মুম্বইয়ের ব্র্যাডি হাউস শাখার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ঘুষ দিয়ে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ফাঁকি দিয়েছেন।
আর্থিক দুর্নীতি করার পর থেকেই ভারত থেকে গায়েব হয়ে যান চোকসি। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগুয়া-বার্বুডায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকেই এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র তাঁর ঠিকানা। সে দেশের নাগরিকত্বও রয়েছে তাঁর কাছে। ২০২১ সালের মে মাসে ভারতীয় আধিকারিকরা মেহুল চোকসিকে ধরতে গেলে কিউবা পালানোর চেষ্টা করেন পলাতক হিরে ব্যাবসায়ী। তবে মাঝপথেই তাঁকে গ্রেফতার করে ডমিনিকা পুলিশ।
এদিকে, গ্রেফতারির পরই মেহুল চোকসি দাবি করেন, ২০২১ সালের ২৩ মে অ্যান্টিগুয়ার জলি হারবার থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। মেহুল জানিয়েছিলেন যাঁরা তাঁকে অপহরণ করেছিল, তাঁদের দেখে পুলিশকর্মীই মনে হয়েছিল। সেখান থেকে নৌকায় করে তাঁকে ডমিনিকাতে আনা হয়েছিল বলেই জানিয়েছিলেন।