Bangladesh: বাহাত্তরের কথা ভুলে গেল, সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীদের হুঁশিয়ারি
Bangladesh: দুই দেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকা যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশন, ডেপুটি হাইকমিশনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভারত যখন ইতিবাচক পদক্ষেপ করে চলছে, তখন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা অর্বাচীনের মতো মন্তব্য করে চলেছেন।
ঢাকা: অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ। প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত জুলাই মাস থেকে উত্তপ্ত হয়। তার পর গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। পদ্মাপারের দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিকবার বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। তাতে বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের। এবার ভারতের বিরুদ্ধে সরব হলেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা।
শনিবার ঢাকায় মিছিল করেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের একাংশ। সেই মিছিলেই ভারতের বিরুদ্ধে সরব হন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। প্রাক্তন এক সেনাকর্মী বলেন, “আমরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ নিয়েছিলাম। সেই শপথ থেকে বিচ্যুত হইনি। দেশের এই পরিস্থিতিতে জাতিকে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।”
বাহাত্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। সেকথা ভুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথের সিংয়ের নাম উল্লেখ করে বাংলাদেশের এক প্রাক্তন সেনাকর্তা বলেন, “আপনারা বাংলাদেশের ৭২ সালের যে সেনাবাহিনী দেখেছেন, বাংলাদেশের সেই সেনাবাহিনী এখন আর নেই। আমরা এখন যুদ্ধোপযোগী এবং যেকোনও শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত।”
এই খবরটিও পড়ুন
সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠে পদ্মাপারের দেশ। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একাধিকবার বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। দুই দেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকা যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশন, ডেপুটি হাইকমিশনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভারত যখন ইতিবাচক পদক্ষেপ করে চলছে, তখন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা অর্বাচীনের মতো মন্তব্য করে চলেছেন।