ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়ার জন্যই মার খাবে প্রতিষেধক! আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

হু-র তরফে জানানো হয়েছে করোনা মহামারীই এমন একমাত্র মহামারী যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে মানুষকে সচেতন করতে।

ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়ার জন্যই মার খাবে প্রতিষেধক! আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
টেড্রস আধানম। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 02, 2020 | 3:17 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ফেব্রুয়ারি থেকে হু হু করে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস (COVID)। তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে একটি সমস্যার কথা বলা হয়েছিল। যা হল ‘ইনফোডেমিক।’ অর্থাৎ ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া। এখন যখন সারা বিশ্বে প্রতিষেধককে নিয়ে একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখনও একই আশঙ্কার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভ্যাকসিন নিয়ে একের পর এক ভুয়ো তথ্যের ফলে সম্পূর্ণ করোনা প্রতিষেধক ব্যবস্থা মার খেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

হু-র তরফে জানানো হয়েছে করোনা মহামারীই এমন একমাত্র মহামারী যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে মানুষকে সচেতন করতে। ঠিক একই ভাবে এই সোশ্যাল মিডিয়া ও ভুয়ো খবরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক ভুল তথ্যও। যার ফলে ব্যাহত হয়েছে করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা। চিন থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই অধিক সংখ্যক প্রাণহানির একটি কারণ এই ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া হলেও হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

গত মাসে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা বলছে সারা বিশ্বকে ভুয়ো তথ্য দিয়ে করোনা প্রতিরোধে যাঁরা বাধা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথম ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই নাকি সবচেয়ে বেশি ভুয়ো তথ্য ছড়িয়েছেন করোনা প্রসঙ্গে। এপ্রিল মাসে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন জীবানুনাশক শরীরে ঢুকিয়ে দেলে হয়তো করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সমীক্ষা বলছে জানুয়ারি থেকে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সংবাদ সংস্থাই দুই হাজারের বেশি ‘ফ্যাক্ট-চ্যাকিং’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে করোনা বিষয়ে।

আরও পড়ুন: মারাদোনার রাজনীতি: সর্ব শক্তি দিয়ে ঘৃণা করি আমেরিকাকে

এখন ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের দৌড়ে রয়েছে ফাইজ়ার, মডার্না ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা প্রতিষেধক। কিন্তু আসল তথ্যের থেকে এই প্রতিষেধকগুলির বিষয়ে বেশি ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। সেখান থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় প্রধান রাচেল ওব্রায়েনের আশঙ্কা হয়তো এই ভুল তথ্যের জন্য আটকে যাবে প্রতিষেধকের দ্রুত গতি।