Bizarre Crime: ১০ বছর ৫১ জনের হাতে ধর্ষিতা স্ত্রী, ‘সৌজন্যে’ স্বামী
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই সব ধর্ষণের ঘটনাগুলি ঘটেছে। অধিকাংশ ব্যক্তিও একাধিক বার মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এক ডেটিং সাইটের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় করতেন অভিযুক্ত ডমিনিকিউ। তার পর স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন।
প্যারিস: স্ত্রীর রাতের খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিতেন মাদক। তা খেয়ে স্ত্রী মাদকাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে স্বামী ডেকে আনতেন বিভিন্ন বয়সী লোককে। তাঁরা ধর্ষণ করতেন ওই ব্যক্তির ঘুমন্ত স্ত্রীকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রাখতেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা মোট ৯২ বার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ভাবে ১০ বছর ধরে প্রায় ৫১ জন ব্যক্তি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের সকলেরই বয়স ২৬ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে। এই অভিযুক্তদের সকলকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ব্যক্তিরা দমকলকর্মী, লরিচালক, কারারক্ষী, সাংবাদিক, ব্যাঙ্ককর্মী, তথ্য প্রযুক্তিকর্মী, সরকারি অফিসার বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। ওই মহিলার স্বামীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে।
অন্য পুরুষ দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ডমিনিকিউ। এই ফ্রেঞ্চ ব্যক্তি মাজানের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ডমিনিকিউ তাঁর স্ত্রীর খাবারে মেশাতেন লোরাজেপাম নামের অ্যান্টি অ্যাংজাইটি ড্রাগ। তা খেয়েই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যেতেন ওই মহিলা। এর পর ডমিনিকিউ বিভিন্ন পুরুষকে আনতেন নিজের ঘরে। এবং নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করাতেন। তিনি সেই ঘটনার ভিডিয়ো করতেন। এই সব ভিডিয়ো ইউএসবি ড্রাইভে সযত্নে রেখেও দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই সব ধর্ষণের ঘটনাগুলি ঘটেছে। অধিকাংশ ব্যক্তিও একাধিক বার মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এক ডেটিং সাইটের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় করতেন অভিযুক্ত ডমিনিকিউ। তার পর স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন।
তবে প্রতিবেশীদের সন্দেহ এড়াতে বিভিন্ন কৌশল ডমিনিকিউ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানিয়েছে, নিজের অতিথিদের গাড়ি আগে রাখতে বলতেন। তার পর হেঁটে তাঁরা রাতের অন্ধকারে আসতেন ঘরে। তবে ঘরের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য এবং পারফিউম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রাখতেন অভিযুক্ত স্বামী। যাতে স্ত্রীর ঘুম ভেঙে না যায় সে জন্যই এই কাজ করতেন তিনি। ২০২০ সালে মহিলাদের পোশাক পরিবর্তন করার ঘরে গোপন ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগ ওঠে ডমিনিকিউয়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনার কথা। এর পর অভিযুক্তের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদও করেছেন নির্যাতিতা স্ত্রী।