French PM resigns: ইউরোপের সংসদীয় নির্বাচনের আগে পদত্যাগ ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর
French PM resigns: চলতি বছরের জুন মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। তার আগে যখন ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অভিবাসন পরিচালনায় সরকারের ব্যর্থতা প্রকট হয়ে উঠেছে, জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছে, সেই সময় বোর্নের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
প্যারিস: চলতি বছরই ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন ও প্যারিস অলিম্পক্স। তার আগে প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ শীঘ্রই মন্ত্রিসভার রদবদল করবেন বলে জল্পনা উঠেছে। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিলেন এলিজাবেথ বোর্ন। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ২ বছরের মধ্যেই ইস্তফা দিলেন তিনি। যা বর্তমান সময়ে ফ্রান্সের রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ।
সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন এলিজাবেথ বোর্ন। প্রেসিডেন্ট বোর্নের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন এবং দায়িত্বে থাকাকালীন তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। প্রেসিডেন্টের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বোর্ন সাহস ও প্রতিশ্রুতি পূরণ করে দেখিয়েছিলেন।
Madame la Première ministre, chère @Elisabeth_Borne, votre travail au service de notre Nation a été chaque jour exemplaire. Vous avez mis en œuvre notre projet avec le courage, l’engagement et la détermination des femmes d’État. De tout cœur, merci. pic.twitter.com/G26ifKfKzj
— Emmanuel Macron (@EmmanuelMacron) January 8, 2024
ফ্রান্সের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এলিজাবেথ বোর্ন। নির্বাচনের আগে তাঁর হঠাৎ পদত্যাগের কারণ স্পষ্ট না হলেও ম্যাক্রোঁর রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো এবং সরকারের ভাবমূর্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এই রদবদল বলে মনে করছে ফ্রান্সের রাজনৈতিক মহল। এবার প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব কাকে করা হবে তা এখনও স্থির হয়নি। তবে ৩৭ বছর বয়সি দেশের শিক্ষামন্ত্রী গাবরিয়ে অটলের নাম শীর্ষ রয়েছে। তিনি হলে ফ্রান্সের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হবেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বোর্ন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন বলে এলিসি প্যালেসের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। তার আগে যখন ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অভিবাসন পরিচালনায় সরকারের ব্যর্থতা প্রকট হয়ে উঠেছে, জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছে, সেই সময় বোর্নের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটা ম্যাক্রোঁর জন্য নির্বাচনের আগে একটি সুযোগ বলে মনে করছেন ফ্রান্সের রাজনীতিকরা।
একটি রিপোর্ট অনুসারে,ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এবং তাঁর দল, বোর্নের নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে। ফ্রান্সের জনমত সমীক্ষায় আসন্ন নির্বাচনের জন্য অতি-ডানপন্থী নেতা মেরিন লে পেনের দল অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। পেনশন সংস্কার, সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো এবং অভিবাসন আইন নিয়ে বিতর্কের জন্য জনগণের অসন্তোষের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনও তিন বছর বাকি রয়েছে। তার আগে এই রদবদলে ম্যাক্রোঁ ভাবমূর্তি পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ পাবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।