‘ওরা এত ত্যাগ স্বীকার করেছে…’, টালমাটাল বাংলাদেশের দায়িত্বে ইউনুসই

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানালেন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী, ড. ইউনূস। বর্তমানে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আছেন ড. ইউনুস । তবে, তিনি শিগগিরই ঢাকায় ফিরবেন। তিনি অবাধ নির্বাচন করারও ডাক দিয়েছেন।

'ওরা এত ত্যাগ স্বীকার করেছে...', টালমাটাল বাংলাদেশের দায়িত্বে ইউনুসই
দায়িত্ব নিতে রাজি মহম্মদ ইউনুসImage Credit source: AFP
Follow Us:
| Updated on: Aug 07, 2024 | 2:54 PM

ঢাকা: জল্পনার অবসান। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিচ্ছেন অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানালেন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী, ড. ইউনূস। মঙ্গলবার (৬ অগস্ট) সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেছেন, “যে শিক্ষার্থীরা এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁরা যখন এই কঠিন সময়ে আমাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন, তাহলে আমি কীভাবে তা প্রত্যাখ্যান করি?” প্রসঙ্গত, তীব্র আন্দোলনের চাপের মুখে, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে বলে জানিয়েছিল সেনা।

গতকালই বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সংসদও ভেঙে দিয়েছেন তিনি। এদিকে, এদিন নয়া সরকারের রূপরেখাও ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, নাহিদ ইসলাম জানান,সর্বজন গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেলজয়ী ড. মহম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। ইউনুসের সঙ্গে এই বিষয়ে তাঁদের কথাও হয়েছে। ছাত্র-জনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এই গুরু দায়িত্ব গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আছেন ড. ইউনুস । তবে, তিনি শিগগিরই ঢাকায় ফিরবেন। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ইউনুস বলেছেন, “আমায় অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিতে বলা হয়েছে। আমার প্রতি বিক্ষোভকারীদের এই আস্থায় আমি সম্মানিত। যদি বাংলাদেশে কিছু করতে হয়, আমার দেশের জন্য এবং আমার জনগণের সাহসের জন্য যদি কোনও পদক্ষেপ করতে হয়, তবে আমি তা করব।” একই সঙ্গে তিনি অবাধ নির্বাচন করারও ডাক দিয়েছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী বলেছেন, “একমাত্র অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আসতে পারে।”