লাহোর বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে ভারতের হাত, অভিযোগ পাক নিরাপত্তা উপদেষ্টার

Pakistan Accuses India for Lahore Blast: গত ২৩ জুন লাহোরের জোহার শহরে কুখ্যাত জঙ্গিনেতা হাফিজ সইদ(Hafiz Saeed)-র বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয় এবং ২৪ জন আহত হন।

লাহোর বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে ভারতের হাত, অভিযোগ পাক নিরাপত্তা উপদেষ্টার
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2021 | 12:53 PM

ইসলামাবাদ: লাহোর গতমাসের গাড়ি বিস্ফোরণের জন্য ভারতকেই দোষারোপ করল পাকিস্তান (Pakistan)। রবিবার সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোয়েদ ইউসুফ (Moeed Yousuf) সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, তদন্ত অনুযায়ী বিস্ফোরণের পিছনে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনীরই ভূমিকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তিনি অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেননি।

রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ফরেনসিক অ্যানালাইসিস, বৈদ্যুতিন যন্ত্র থেকে জানা গিয়েছে যে গোটা সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনের মাস্টারমাইন্ড ‘র'(RAW)-এরই সদস্য। ভারতেই বসবাস করেন তিনি এবং ভারতীয় নাগরিকত্বও রয়েছে।” তিনি জানান, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেয়, তা সকলের সামনে আনার কাজ চালিয়ে যাবে পাকিস্তান।

গত ২৩ জুন লাহোরের জোহার শহরে কুখ্যাত জঙ্গিনেতা হাফিজ সইদ(Hafiz Saeed)-র বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয় এবং ২৪ জন আহত হন। কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীই এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি এখনও। বিস্ফোরণের ঘটনার পরই পাকিস্তান পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গতকাল তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে ভারতের গোয়েন্দা শাখা র-এর মদতেই এই বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে দাবি জানায়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত পঞ্জাব পুলিশের প্রধান ইনাম ঘানি জানান, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন পাকিস্তানে বসবাসকারী আফগান নাগরিকও রয়েছেন, যিনি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি রেখে এসেছিলেন।

উল্লেখ্য, এই হাফিজ সইদকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেওয়া হয়েছে এবং ১ কোটি টাকা পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের গণহামলায় ১৭০ জনের মৃত্যুর পিছনে প্রধান চক্রী এই হাফিজ সইদই ছিলেন বলে মনে করা হয়। পাকিস্তানে হাফিজ সইদকে লুকিয়ে থাকায় সাহায্য করার অভিযোগও উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: আগ্রাসী মনোভাবে ‘বিষফোঁড়া’র কাজ করেছে করোনা, বিশ্ব বাজারেও একঘরে হচ্ছে চিন