Pakistan: আরও ‘আঁধারে’ ডুবল পাকিস্তান, আর্থিক সঙ্কটের মাঝে রেকর্ড পতন রুপির দামে

Financial Crisis: সম্প্রতিই আইএমএফের কাছে আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে সাহায্যের আবেদন জানায় পাকিস্তান। সেই সময় আইএমএফের তরফে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান সরকার যেন মুদ্রার দামের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়। খোলা বাজারেই ধার্য করা হবে পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্য বা রেট।

Pakistan: আরও 'আঁধারে' ডুবল পাকিস্তান, আর্থিক সঙ্কটের মাঝে রেকর্ড পতন রুপির দামে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2023 | 7:18 AM

ইসলামাবাদ: একেই হয়তো বলে শিরে সংক্রান্তি! এমনিতেই চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। তার উপরে এবার শুরু হল সে দেশের টাকার দাম পতন। হু হু করে পতন হচ্ছে পাকিস্তানি মুদ্রার (Pakistani Rupee) দামে। পাকিস্তানি মুদ্রা, যা রুপি বা রুপেয়া নামে পরিচিত, তার দামে পতন হয়ে প্রতি ডলারে ২৫৫ রুপিতে এসে ঠেকেছে। পাকিস্তানি মুদ্রার দামে এটিই সর্বনিম্ন পতন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে থাকা দেশ এই বিপদ থেকে বেরিয়ে আসার কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মনিটারি ফান্ড (International Monetary Fund) থেকে ঋণই এখন তাদের একমাত্র ভরসা। সেই ঋণ পাওয়ার আশাতেই সম্প্রতি পাক সরকার মুদ্রা পরিবর্তন বা এক্সচেঞ্জ রেট (Exchange Rate) শিথিল করে। এরপরই হয় পাকিস্তানি মুদ্রার দামে ব্যাপক পতন, এমনটাই অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতামত।

চলতি সপ্তাহের বুধবারই পাকিস্তান সরকারের নির্দেশ মতো সে দেশের রুপি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলি ডলার থেকে রুপিতে পরিবর্তনের রেটের উপরে সীমা তুলে নেয়। খোলা বাজারে পাকিস্তানি মুদ্রার দামে যাতে পতন হয়, তার জন্যই পরিকল্পনামাফিক এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপরই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি রুপির দামে ২৪ টাকা পতন হয়। প্রতি ডলারের সাপেক্ষে দাম ২৫৫ রুপিতে দাঁড়ায়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতিই আইএমএফের কাছে আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে সাহায্যের আবেদন জানায় পাকিস্তান। সেই সময় আইএমএফের তরফে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান সরকার যেন মুদ্রার দামের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়। খোলা বাজারেই ধার্য করা হবে পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্য বা রেট। সঙ্গে সঙ্গেই সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় সরকার। পাকিস্তানের আশা, আইএমএফের শর্ত মেনে নেওয়ায় ৬.৫ বিলিয়ন বা ৬৫০ কোটি ডলারের আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে, যা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে। গত বছর আর্থিক সাহায্য পেলেও, এবারের তহবিল এখনও পায়নি পাকিস্তান।

পাকিস্তানি মুদ্রার দামের ব্যাপক পতনের কারণে শুধু আর্থিক সঙ্কট নয়, খাদ্যদ্রব্যেরও ব্য়াপক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। দেশের কোনও কোনও জায়গায় এক প্যাকেট ময়দাই বিক্রি হচ্ছে ৩-৪ হাজার টাকায়। খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি, খাবারের ট্রাকের পিছনে সাধারণ মানুষদের পড়িমড়ি দৌড়, এমন একাধিক দৃশ্য দেখা গিয়েছে বিগত কয়েক মাসে। চলতি সপ্তাহ থেকে ঘন ঘন ব্ল্য়াকআউটও শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। খরচ কমাতে একদিকে যেমন কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তেমনই ১০ শতাংশ করে বেতনও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।