Pakistan Political Crisis: বিদেশে পালাতে পারেন সরকারি আধিকারিকরা, ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হতে বিমানবন্দরে জারি ‘হাই অ্যালার্ট’

Pakistan Crisis: গত সপ্তাহেই ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারহা খান দুবাই চলে গিয়েছেন। মনে করা হয়েছিল পাকিস্তানে নয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, সেই কারণেই আগেভাগেই তিনি দেশ ছেড়েছিলেন।

Pakistan Political Crisis: বিদেশে পালাতে পারেন সরকারি আধিকারিকরা, ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হতে বিমানবন্দরে জারি 'হাই অ্যালার্ট'
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2022 | 9:10 AM

ইসলামাবাদ: ইতিমধ্যে পাকিস্তানের (Pakistan) গদি থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ইমরান খান (Imran KHan)। একের পর এক নাটকের পর দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হওয়া আটকাতে পারেননি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। দেশের মসনদ থেকে ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হতে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের বিরোধী দলনেতা তথা দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif) খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। তবে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হতেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও স্থিতাবস্থা ফেরেনি। পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা এফআইএ দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মীদের ওপর হাই অ্যালার্ট জারি করেছেন। বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ইমরানের শাসনকালের সঙ্গে যুক্ত কোনও সরকারি আধিকারিকরা যদি বিদেশ যাওয়া চেষ্টা করেন, তবে তৎক্ষণাত তাদের আটকাতে হবে। ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট ছাড়া তাদের কোনওভাবে বিদেশে যেতে দেওয়া যাবে না।

জাতীয় সংসদে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিবাসব কর্মীদের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছে না এফআইএ। তাই বিমানবন্দরের অভিবাসন কেন্দ্রগুলিতে গোয়েন্দাদেরও নিয়োগ করা হয়েছে। অভিবাসন কর্মীদের পাশাপাশি এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্সকেও হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে বলেই খবর। কোনও রকমে ঝুঁকি এড়াতে বিদেশের যে কোনও দেশে যাওয়া সকল যাত্রীদের কড়া পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এফআইএ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাদেরকে সর্বোচ্চ স্তর থেকে কড়া নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও ভাবেই সরকারি আধিকারিকদের ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট ছাড়া দেশ ছাড়তে না দেওয়া হয়।

গত সপ্তাহেই ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারহা খান দুবাই চলে গিয়েছেন। মনে করা হয়েছিল পাকিস্তানে নয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, সেই কারণেই আগেভাগেই তিনি দেশ ছেড়েছিলেন। এমনকী ফারহার স্বামী এহসান জামিল গুজ্জর ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে ছেড়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিয়েছেন। বিরোধীদের দাবি ইমরানে শাসনকালে পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের পছন্দমতো পদে বদলি এবং পদোন্নতির জন্য ফারহা প্রচুর টাক নিয়েছেন। সব মিলিয়ে অঙ্কটা ৬০০ কোটি পাকিস্তানি টাকার বেশি। এই কেলেঙ্কারিকে দেশের অন্যতম বড় কেলেঙ্কারি হিসেবেই মনে করছে বিরোধীরা। পাকিস্তান মুসলিম লিগের সহ সভাপতি তথা নওয়াজ কন্যা মরিয়াম শরিফের অভিযোগ এই দুর্নীতির সঙ্গে ইমরান ও তাঁর স্ত্রী প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করেছিলেন ইমরান। পাকিস্তানের পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আরও পড়ুন Shehbaz Sharif : ভাইরাল ‘মিম’-এ পরিণত পাকিস্তানের ‘হবু প্রধানমন্ত্রী’ শাহবাজ় শরিফ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলল পুরোনো ভিডিয়ো