করোনা রুখতেও ‘বন্ধু’ চিনই ভরসা পাকিস্তানের! ১২ লক্ষ চিনা টিকা কিনছে ইসলামাবাদ

ভারতের বিরুদ্ধে বিরোধিতার সুর চড়িয়ে অনেক সময় পাকিস্তানের হয়ে সওয়াল করেছে চিন। তাই চিনের কাছ থেকে পাকিস্তানের করোনা টিকা ক্রয়, একেবারেই অনভিপ্রেত নয়।

করোনা রুখতেও 'বন্ধু' চিনই ভরসা পাকিস্তানের! ১২ লক্ষ চিনা টিকা কিনছে ইসলামাবাদ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 31, 2020 | 4:31 PM

ইসলামাবাদ: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে পাকিস্তানে (Pakistan)। এমতাবস্থায় সংক্রমণ রুখতে চিনের শরণাপন্ন হচ্ছে পাকিস্তান। চিনের সিনোফার্ম সংস্থার কাছ থেকে ১২ লক্ষ করোনা টিকা কিনছে ইসলামাবাদ। টুইট করে পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফওয়াদ হোসেন জানিয়েছেন, ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে চিনের সিনোফার্ম সংস্থার কাছ থেকে ১২ লক্ষ করোনা প্রতিষেধক কেনা হবে যা বিনামূল্যে প্রথম সারির যোদ্ধাদের দেওয়া হবে।

চিনে এতদিন সাধারণ মানুষদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুমতি ছিল না। শুধুমাত্র সরকার নির্ধারিত বিশেষ ব্যক্তিরাই করোনা প্রতিষেধক পেতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবারই সিনোফার্মের করোনা প্রতিষেধককে আম জনতার জন্য অনুমোদন দিয়েছে বেজিং। তারপরই প্রতিষেধক কেনার কথা জানাল পাকিস্তান। এই মাসেই করোনা প্রতিষেধকের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় ১০৯৫ কোটি টাকারও বেশি অনুমোদন করেছে ইমরান প্রশাসন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় করোনা প্রতিষেধকের বিতরণ হবে তা এখনও জানায়নি ইসলামাবাদ।

পাশাপাশি ফওয়াদ হোসেন এ-ও জানিয়েছেন, যদি কোনও বেসরকারি সংস্থা অন্য কোনও অনুমোদিত ভ্যাকসিন আমদানি করতে চায়, সেক্ষেত্রেও সবুজ সঙ্কেত রয়েছে সরকারের। পাকিস্তানে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও দিনে হাজারো মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভেঙে পুড়িয়ে দেওয়া হল হিন্দু মন্দির

তবে বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি দেশে অনুমোদিত প্রতিষেধক হল ফাইজ়ার। এছাড়াও অনুমোদন পেয়েছে স্পুটনিক ভি, মডার্না, কোভিশিল্ড। কিন্তু কেন চিনের প্রতিষেধক কিনল পাকিস্তান! এক্ষেত্রে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, একাধিক ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও চিনের সুরে সুর মিলিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে বিরোধিতার সুর চড়িয়ে অনেক সময় পাকিস্তানের হয়ে সওয়াল করেছে চিন। তাই চিনের কাছ থেকে পাকিস্তানের করোনা টিকা ক্রয়, একেবারেই অনভিপ্রেত নয়। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে কানসিনো বায়োলজিকসের করোনা টিকা এডি৫-এনকোভভির চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল চলছে।