Pakistani Tiktoker : জঙ্গলে আগুনের মধ্য়েই রুপোলি গাউন পরে টিকটক করছেন পাকিস্তানি তারকা, সমালোচনার ঝড় নেটমাধ্যমে
Pakistani Tiktoker : এক পাকিস্তানি টিকটকারের ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে সরগরম নেটপাড়া। জঙ্গলে আগুন লেগেছে। তার মধ্যে তিনি রুপোলি গাউন পরে ভিডিয়ো করছেন। তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছেন সাধারণ নাগরিক থেকে পরিবেশবিদ সকলে।
ইসলামাবাদ : টিকটকে বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন রকমের ভিডিয়ো চোখে পড়ে। তবে পাকিস্তানের এক সোশ্যাল মিডিয়া যা করলেন তাতে হতবাক নেটিজ়েনরা। তাঁকে নিয়ে সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে। টিকটকে ভালই জনপ্রিয় তিনি। ফলোয়ার্সের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এক কোটিরও বেশি ফলোয়ার্স। তবে রাতারাতি নিজের টিকটিক পোস্টের জন্যই শুনতে হচ্ছে সমালোচনা। ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁর এই ভিডিয়ো। এই টিকটকার হলেন হুমাইরা আসঘর।
টিকটক তারকার ভাইরাল হওয়া ১৫ সেকেণ্ডের ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তিনি একটি জঙ্গলের মধ্যে শুটিং করছেন। পিছনে বনে আগুন লেগেছে। সামনে একটি রুপোলি রঙের গাউন পরে তিনি ক্যামেরার সামনে অভিনয় করে চলেছেন। সেই ভিডিয়োর আবার ক্যাপশনে গর্বের সহকারে লেখা, ‘আমি যেখানেই যাই সেখানেই আগুন লেগে যায়।’ এই ভিডিয়ো মুহূর্তের মধ্যে নেট পাড়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সাধারণ নাগরিক থেকে পরিবেশ বিশরদ- সকলেই তীব্র সমালোচনা করেছেন এই পাকিস্তানি ‘টিকটকারের’ এহেন কাজে। পাকিস্তানের এক পরিবেশ কর্মী ও ইসলামাবাদ ওয়াইল্ড ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারপার্সন এক পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যমকে এই বিষয়ে বলেছেন, “বনের মধ্যে আগুন লাগাকে গ্ল্যামারাইজ করার বদলে সেই আগুন নেভানোর জন্য তাঁর এক বালতি জল হাতে দাঁড়ানো উচিত ছিল।” এছাড়াও সাধারণ নাগরিকরা টিকটকের সেই ভিডিয়োর নীচে লিখেছেন, “এটি অজ্ঞতা ও পাগলামির পরিচয়।” টুইটারে আবার আরেকজন লিখেছেন, “যদি কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করে তাহলে তাঁকে অন্তত কেউ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্লক করতে পারেন ।” এর পাশাপাশি তাঁর কঠোর শাস্তির দাবিও উঠেছে।
This is a disturbing & disastrous trend on Tik Tok! Young people desperate 4 followers are setting fire to our forests during this hot & dry season! In Australia it is lifetime imprisonment for those who start wildfires. We need to introduce similar legislation @WildlifeBoard pic.twitter.com/RGMXnbG9f1
— Rina S Khan Satti (@rinasaeed) May 17, 2022
তবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়ে এই ভিডিয়ো মুছে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আসগারের একজন অ্যাসিসেন্ট এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, তিনি নিজে আগুন লাগাননি। ‘ভিডিয়ো বানাতে তো কোনও ক্ষতি নেই।’ পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যে পরিবেশগত বিষয় নিয়ে অবহেলা ও অজ্ঞতা দেখা যায়। এমনিতেই উচ্চ তাপমাত্রার জন্য এপ্রিল থেকে জুলাই অবধি দাবানল স্বাভাবিক ঘটনা এখানে।