ফের বিস্ফোরণ সৌদির বিমানবন্দরে! অতর্কিতে ড্রোন হামলা, আহত অনেকে
ড্রোন হামলার জেরে যদিও কোনও মৃত্যুর ঘটনা এখনও ঘটেনি। এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি।
দুবাই: কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও টাটকা। এরই মধ্যে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল সৌদি আরবে। সূত্র জানাচ্ছে, আকস্মিক এই ড্রোন হামলায় এখনও পর্যন্ত আট ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী বিমানও বেশ গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ইয়েমের সঙ্গে সৌদির লাগাতার বিবাদের ফলশ্রুতি হিবেসেই এই ড্রোন হামলাকে দেখা হচ্ছে। ড্রোন হামলার জেরে যদিও কোনও মৃত্যুর ঘটনা এখনও ঘটেনি। এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি।
এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার এই বিমানবন্দরের উপর হামলা চালানো হল। এর আগের হামলাম অভিঘাত অবশ্য কম ছিল। সেই হামলায় কেউ আহত হননি। তবে দ্বিতীয় হামলার জেরে ৮ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। আহতদের সম্পর্কেও বিশদ কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি সৌদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে আরও হামলা হওয়ার কথা ছিল যেগুলি আটকে দেওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
সৌদি আরব ও ইয়েমেনের মধ্যে এই ঠান্ডা যুদ্ধের ইতিহাস দীর্ঘ, তবে গত এক মাসে তা ক্রমশ বড় আকার ধারণ করছে। দিনকয়েক আগেই দক্ষিণ ইয়েমেনের এক সেনা ঘাঁটিতে একটি মিসাইল হামলা চলে। কমপক্ষে ৩০ জন ইয়েমেনের সেনার মৃত্যু হয় সেই হামলায়। তারপর থেকেই ইয়েমেন আরও আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে সৌদির প্রতি। সেই কারণেই এই হামলার নেপথ্যেও ইয়েমেনের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৫ সাল থেকেই ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীরা সৌদি সেনার সঙ্গে ঠাণ্ডা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সৌদি আরবের বিমানবন্দর, বা সেনা ছাউনিগুলিকে নিশানায় নিয়ে হামলা চালিয়ে থাকে। সৌদি আরবের সবচেয়ে সহজলভ্য অথচ মহার্ঘ সম্পদ অর্থাৎ পেট্রোলিয়ামজাত সম্পত্তির উপরও নজর থেকেছে ইয়েমেনের এই হাউথি বাহিনীর।
বিগত কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরবের আভা এবং জিঝানের মতো শহরে ইয়েমেনের চালানো হামলার জেরে কয়েকশো সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন, অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু দুই দেশের ঠাণ্ডা যুদ্ধে কোনও ইতি পড়েনি। পালটা সৌদি আরবও যখন তখন ইয়েমেনের একাধিক জায়গায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। কোনও হামলাই খুব বড় মাপের না হলেও সৌদির চালানো হামলায় ইয়েমেনের হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে, এমনকী বহু সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। যার দরুণ এই দুই দেশের যুযুধান সমালোচিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
দুই দেশের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে চলে আসা সেই ঠাণ্ডা যুদ্ধই বর্তমানে বড় আকার নিয়েছে। সৌদি বা ইয়েমেন কেউ কাউকে এই ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। আন্তর্জাতিক মহলে বেশ কয়েকবার সমালোচিত হলেও ইয়েমেন আগ্রাসনই আস্থা দেখাচ্ছে। অন্যদিকেও সৌদিও ইট খেলে পালটা পাটকেল মারছে। আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: কপ্টারে লাশ ঝুলিয়ে তালিবানি ‘তামাশা’! নৃশংসতার নয়া নজির দেখল বিশ্ব