২০ লক্ষ বারুদের সুড়ঙ্গ আর সৈনিকদের ফাঁকি দিয়ে জীবন বাজি রেখে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকলেন এই ব্যক্তি
Person Crosses South Korea: এর আগে ২০২০-তে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন কোভিড-১৯ এর লক্ষণ থাকা এক ব্যক্তি বাড়ি ফেরার কারণে সীমান্তবর্তী শহরে লকডাউন করে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে গত শনিবার উত্তর কোরিয়া ঘোষণা করেছে যে তারা গত সপ্তাহে শাসক দলের একটি হাই প্রোফাইল বৈঠকে ভাইরাসের কড়া নিষেধাজ্ঞাকে প্রাথমিকতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া: রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি কড়া পাহারা এড়িয়ে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়েছে। এর আগে পর্যবেক্ষণ সরঞ্জামের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তের পূর্ববর্তী অংশে এক ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছিল। তাকে আটক করার জন্য সেনাও পাঠানো হয়েছিল। জয়েন্ট চিপস অব স্টাফের (Joint Chiefs of Staff) আধিকারীকেরা জানিয়েছেন যে সেনা সেখানে কোনও ব্যক্তির সন্ধান পায়নি। তবে পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম ওই ব্যাক্তির সীমান্ত পেরোনোর সংকেত দিয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই আধিকারীক জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া রবিবার সকালে উত্তর কোরিয়ার ওই ব্যক্তির সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য একটি মেসেজ পাঠায়, কিন্তু উত্তর কোরিয়া তার কোনও জবাব দেয়নি। সেপ্টেম্বর ২০২০-তে উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার মৎস্য বিভাগের এক আধিকারীককে গুলি করে আর ওই ব্যক্তির মৃতদেহ সিয়োলের সীমান্ত লাগোয়া জলক্ষেত্রে পাওয়া গিয়েছিল। উত্তর কোরিয়ায় করোনা ভাইরাস নিয়ে কড়া নিয়মের কারণে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরোনো যে কোনও ব্যক্তিকে গুলি করে মারার নির্দেশ রয়েছে।
ভাইরাসের কড়া নিষেধাজ্ঞাকে প্রাথমিকতা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া
এর আগে ২০২০-তে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন কোভিড-১৯ এর লক্ষণ থাকা এক ব্যক্তি বাড়ি ফেরার কারণে সীমান্তবর্তী শহরে লকডাউন করে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে গত শনিবার উত্তর কোরিয়া ঘোষণা করেছে যে তারা গত সপ্তাহে শাসক দলের একটি হাই প্রোফাইল বৈঠকে ভাইরাসের কড়া নিষেধাজ্ঞাকে প্রাথমিকতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে ভারী সশস্ত্র সীমান্তে বিভক্ত। একে ডিমিলিটরাইজড জোন বলা হয়।
ডিমিলিটরাইজড জোনকে পার করা অসম্ভব
এই ডিমিলিটরাইজড জোন ২৪৮ কিলোমিটার লম্বা আর চার কিলোমিটার চওড়া। এখানে প্রায় ২০ লক্ষ বোমা মাটির নীচে লাগানো রয়েছে। এছাড়াও এখানে কাঁটাতার যুক্ত বেড়া রয়েছে। সীমান্তের দুদিকেই লড়াকু সৈনিকও মোতায়েন রয়েছে। এখানে লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল ডিমিলিটরাইজড জোন পার করা প্রায় অসম্ভব। শীতযুদ্ধ চরমে থাকার সময় দুই কোরিয়া নিজেদের এজেন্টস আর গুপ্তচরদের সীমান্তে পাঠাতো। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এমন কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। ১৯৯০ এর দশকের শেষে প্রায় ৩৪ হাজার উত্তর কোরিয়ান নাগরিক দক্ষিণ কোরিয়ায় ঢুকেছিলেন।