Typhoon in Philippine: ভয়ঙ্করতম টাইফুনে ঘরছাড়া লক্ষাধিক, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪০০
Typhoon in Philippine: সপ্তাহ দুয়েক আগে আছড়ে পড়েছিল টাইফুন রাই, গোটা দেশ লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া।
ম্যানিলা : এত ভয়াবহ টাইফুন আগে কখনও দেখেনি ফিলিপিন্স। টাইফুন রাই আছড়ে পড়ার পর ২ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে, এখনও একের পর এক মৃতদেহ বেরিয়ে আসছে। শুক্রবার এক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে মৃতের সংখ্যা ৪০০ পার করেছে। অন্তত ৮২ জনের কোনও খোঁজ নেই এখনও। আহত হয়েছেন ১,১৪৭ জন। গাছ পড়ে বা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েই বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ফিলিপিন্সের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের প্রধান রিকার্ডো জালাদ জানিয়েছেন, মূলত জলে ডুবে যাওয়া, গাছ ভেঙে পড়া এবং ভূমিধসের কারণেই মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৪০৫। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছিল, ফিলিপিন্সের দক্ষিণ ও মধ্য অংশেই মূলত আছড়ে পড়ে টাইফুন রাই। ঝড়ের দাপটে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া। সমুদ্রের ধারে হোটেলগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে, উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম।
রাই আছড়ে পড়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। খাবার, জল এবং অন্যান্য ত্রান সামগ্রী সরবরাহের জন্য আবেদন আসছে প্রশাসনের কাছে। এটা ছিল ফিলিপিন্সের ১৫ তম টাইফুন। এটাই সবচেয়ে মারাত্মক টাইফুন, যা এই বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশে আঘাত হেনেছে।
জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বোহলের গভর্নর আর্থার ইয়াপ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান, কেবল তাদের শহরেই ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টির কারণে, আহত হয়েছেন ১৩ জন। বৃহস্পতিবার টাইফুনটি আছড়ে পড়লেও, তার প্রভাব এখনও রয়ে গিয়েছে, এখনও অবধি ১০জনের খোঁজ মিলছে না বলে জানা গিয়েছে।
ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিয়ারগাও, দিনাগাত ও মিনদানাও দ্বীপ। দিনাগাত দ্বীপেও কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিয়ারগাও দ্বীপে প্রচুর পর্যটক আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানে ব্যপক মাত্রায় খাদ্য ও জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রাস্তার ধারে, বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের আর্তি জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : Covid Positive: মাঝ-আকাশে ‘কোভিড পজিটিভ’! তিন ঘণ্টা বাথরুমেই বন্দি হয়ে রইলেন মহিলা
ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারকার্যে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এই কারণে। তবুও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উপকূলরক্ষী বাহিনী জোরদকদমে উদ্ধারকার্য চালানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই উপকূলরক্ষী বাহিনী ও নৌবাহিনী ছোট ছোট নৌকায় খাদ্য, জল ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে বন্যা দুর্গত জায়গাগুলির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। রাস্তা সাফ করার জন্যও ভারী মেশিনও ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Soumya Swaminathan on Covid Surge: ‘করোনা এত দ্রুত বাড়বে, এত বেশি মানুষ অসুস্থ হবে যে…’