‘ডেল্টা’র দাপটে পিছিয়ে গেল আনলক প্রক্রিয়া, সুযোগকে কাজে লাগাবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস
২১ জুন আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গোটা ইংল্যান্ড জুড়ে "অতি সংক্রামক" ডেল্টা স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯ জুলাই অবধি বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল।

লন্ডন: আশঙ্কাই সত্যি হল, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে একমাসের জন্য পিছিয়ে গেলআনলকের পরিকল্পনা। সঠিক পরিকল্পনা অনুসরণ না করলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে, এই আশঙ্কায় সোমবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আনলকের পরিকল্পনা এক মাস পিছিয়ে দিলেন।
২১ জুন আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গোটা ইংল্যান্ড জুড়ে “অতি সংক্রামক” ডেল্টা স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯ জুলাই অবধি বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল। হাতে অতিরিক্ত একমাস সময় মেলায়, এই সময়ে দেশের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশকেই করোনা টিকার দুটি ডোজ় দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন, ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের তরফে প্রকাশিত মডেলে জানানো হয়, যদি ২১ জুনই আনলক পর্ব শুরু করা হত, তবে হাসপাতালগুলিতে ফের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাবে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অন্যদিকে, এক মাসের ব্যবধানে আনলক শুরু হলে তাতে টিকাপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে এবং আক্রান্তের সংখ্যাও কিছুটা হ্রাস পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, টিকাকরণে বিশ্বের বাকি দেশগুলির তুলনায় ব্রিটেন অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। আপাতত ফাইজ়ার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দিয়েই টিকাকরণ চলছে সে দেশে। এই দুটি ভ্যাকসিনই করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, যা প্রথম ভারতে খোঁজ মেলে, তা রুখতে যথাক্রমে ৯৬ শতাংশ ও ৯২ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করা হচ্ছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই যদি করোনা টিকার দুটি ডোজ় পেয়ে যান, তবে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশেও অনুমোদন পেল সিঙ্গল ডোজ়ের জনসন





