Metro Project: মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যাবে নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো প্রকল্প?
Metro Project: মেট্রো সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর চালুর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে বিমানবন্দর থেকে নিউ বারাকপুর ( ৩.৫৪৪ কিমি) চালু করা হবে। ওই অংশটি চালু করার জন্য ২০২৬ সালের জুলাই-অগস্ট মাসের সময়কালকে টার্গেট করা হয়েছে।

কলকাতা: বিমানবন্দরের থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণে বাধা জমি বেদখল। স্বীকার করলেন মেট্রো কর্তা, সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের আশায় মেট্রো। চাপানউতোর প্রশাসনিক মহলে। জমি বেদখল থেকে জমি অধিগ্রহণ, এই দুই সমস্যায় জর্জরিত নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো প্রকল্প। এই জমি সমস্যার কারণেই যে মেট্রো প্রকল্প সম্পূর্ণ শেষ করা যাচ্ছে না, তা মেনে নিলেন কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়র দেবেন্দ্র কুমার।
জট কোথায়?
এদিকে নোয়াপাড়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। যশোর রোড, বিরাটি, মধ্যমগ্রাম, বারাসত- এই স্টেশন তৈরির জন্য যা প্রয়োজন, তার সামান্য মেলেনি বলে দাবি করছে মেট্রো। বিমানবন্দরের পর উত্তর শহরতলির মাইকেলনগর পর্যন্ত প্রায় ২.৮৪ কিমি অংশে মেট্রোর কাজ মসৃণভাবে এগোচ্ছে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে মাইকেলনগরের পর থেকে। মেট্রো কর্তারা জানালেন, তাঁদের প্রায় দুই থেকে আড়াই একর জমি প্রয়োজন। কিন্তু সেখানেই বেড়েছে জট।
বাড়ছে খরচ
মাইকেলনগর থেকে বারাসত পর্যন্ত প্রায় ৮.২৫ কিমি অংশে কাজ থমকে বলে মেট্রো সূত্রে খবর। কারণ হিসেবে মেট্রো কর্তাদের দাবি, যেভাবে জমি দখল হয়ে রয়েছে এবং জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সে কারণেই এই অংশের কাজ সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না। যদিও কলকাতা মেট্রোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার এদিন বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে মেট্রো এবং রেল বোর্ড সর্বদা যোগাযোগ রেখে চলেছে।
মেট্রো কর্তাদের একাংশের দাবি, রাজ্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই প্রকল্পে এত সময় লাগতো না। তাঁরা এই বলছেন, দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে জটিলতা বেড়েছে। যার জেরে ব্যয়ভারও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১০-১১ সালে প্রকল্প শুরুর সময় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। সেটা সংশোধন হতে হতে এখন দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকায়।
বন্ধ হয়ে যাবে কাজ?
মেট্রো সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর চালুর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে বিমানবন্দর থেকে নিউ বারাকপুর ( ৩.৫৪৪ কিমি) চালু করা হবে। ওই অংশটি চালু করার জন্য ২০২৬ সালের জুলাই-অগস্ট মাসের সময়কালকে টার্গেট করা হয়েছে। কিন্তু তারপরের বাকি অংশ জটের অন্ত নেই। চলতি লোকসভা এবং রাজ্যসভা অধিবেশনে জমি দখল এবং অধিগ্রহণ নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রাজ্যে একাধিক রেলপ্রকল্প যে শুধুমাত্র জমির কারণে বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তা বলেছিলেন স্পষ্টভাবে।
রেলমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, রাজ্যে সব ঘোষিত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জমি প্রয়োজন ৪০৯৩ হেক্টর জমি। কিন্তু মিলেছে মাত্র ১০৮৬ হেক্টর জমি। রাজ্য সরকারের উদাসীনতা এবং অসহযোগিতার কারণে একাধিক প্রকল্প বাতিল হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এখন জমি যদি না পাওয়া যায় তাহলে নোয়াপাড়া-বারাসত প্রকল্প মাঝ রাস্তায় বন্ধ করে দিতে হবে বলে আশঙ্কা করেছেন মেট্রো কর্তারা। তাতেই সিঁদুরে মেঘ সংশ্লিষ্ট প্রসাসনিক মহলে।





