Cancer Drug: হার মানবে মারণ ক্যানসারও, শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার হতে পারে এই ‘ম্যাজিক’ ওষুধ

Cancer Treatment: মেসোথেলিওমা হল একধরনের ক্যানসার, যা ফুসফুসে বাসা বাঁধে। মূলত শরীরের অ্যাসবেসটসের কণা প্রবেশের কারণেই ক্যানসার তৈরি ও বৃদ্ধি পায়। এই ক্যানসারের ধরন অ্যাগ্রেসিভ অর্থাৎ অত্যন্ত দ্রুত ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে। এই ক্যানসারে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। এদিকে প্রতিবছরই এই ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।

Cancer Drug: হার মানবে মারণ ক্যানসারও, শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার হতে পারে এই 'ম্যাজিক' ওষুধ
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Feb 16, 2024 | 11:22 AM

ব্রিটেন: আর হয়তো দূরারোগ্য থাকবে না কর্কট রোগ (Cancer)। এমন এক ওষুধ আবিষ্কার করলেন চিকিৎসক-গবেষকরা, যা ক্যানসার নিরাময়ে সক্ষম। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটেনের লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা নতুন ওষুধ আবিষ্কার করেছেন যা অ্যাডভান্সড স্টেজের ক্যানসারের চিকিৎসা করাও সম্ভব। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধে ক্যানসারে আক্রান্তদের সার্ভাইভাল রেট বা আয়ু তিন বছর অবধি বাড়তে পারে। ক্যানসারে আক্রান্তদের গড় আয়ু ১.৬ মাস অবধি নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে এই ওষুধে।

কীভাবে কাজ করে এই ওষুধ?

কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধে শরীরে বাসা বাঁধা টিউমারে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ফলে টিউমার সেল বা কোষটি আর বৃদ্ধি পায় না। পেগারগিমিনেস নামক ওই ওষুধ প্রয়োগ করা হলে, ক্যানসার নতুন করে বৃদ্ধি যেমন পায় না, তেমনই গড় আয়ুও বৃদ্ধি পায়। এমনটাই দাবি চিকিৎসক-গবেষকদের।

কোন ক্যানসার প্রতিহত করবে এই ওষুধ? 

মেসোথেলিওমা হল একধরনের ক্যানসার, যা ফুসফুসে বাসা বাঁধে। মূলত শরীরের অ্যাসবেসটসের কণা প্রবেশের কারণেই ক্যানসার তৈরি ও বৃদ্ধি পায়। এই ক্যানসারের ধরন অ্যাগ্রেসিভ অর্থাৎ অত্যন্ত দ্রুত ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে। এই ক্যানসারে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। এদিকে প্রতিবছরই এই ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। শুধু ব্রিটেনেই প্রতি বছর ২৭০০-রও বেশি মেসোথেলিওমায় আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। এই ক্যানসারের উপরই কার্যকর নতুন ওষুধ।

কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ইটালি ও তাইওয়ানে আন্তর্জাতিক ট্রায়াল করা হয়েছে এই ওষুধের। ক্যানসার আক্রান্তদের উপরে এই ট্রায়াল করা হয়, যাদের প্রতি তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কেমোথেরাপি নিতে হয়। এদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক আক্রান্তের উপরে নতুন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। বাকিদের দুই বছরের জন্য প্লাসিবো দেওয়া হয়।

ট্রায়াল শেষে দেখা যায়, ২৪৯ জন ক্যানসার আক্রান্তের মধ্যে যাদের এই নতুন ওষুধ দেওয়া হয়েছিল এবং কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিল নিয়মিত, তারা আয়ুর তুলনায় গড়ে ৯.৩ মাস অতিরিক্ত বেঁচে থাকতে পেরেছেন। অন্যদিকে যাদের প্লেসিবো  দেওয়া হয়েছিল, তারা গড়ে ৭.৭ মাস বেঁচে ছিলেন।