রবিবারই সিবিএস নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিদেশমন্ত্রী কুলেবা বলেন, “মারিউপোলের অবস্থা যেমন শোচনীয়, তেমনই হৃদয় বিদারক। ওই শহরটি আর নেই। কেবল বাড়িঘরগুলির ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। ইউক্রেনের সেনা ও বহু সাধারণ মানুষকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী। তারা লড়াই চালিয়ে গেলেও, রুশ সেনার আচার-ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে যেকোনও প্রকারে গোটা শহর ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য।”
জানা গিয়েছে, ওই বন্দর শহরের একটি বড় অংশই রুশ বাহিনী বা রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির দখলে চলে গিয়েছে। গত সপ্তাহেই মারিউপোলের মেয়র জানিয়েছিলেন, শহরের ৯০ শতাংশ বাড়িঘরই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। দোনেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর পাভলো কিরিয়েঙ্কাও জানিয়েছেন, রুশ সেনার পরিকল্পিত হামলায় মারিউপোল শহরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, রবিবারই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তবে ইউক্রেনের তরফেও জানানো হয়েছে, তারা কিছুতেই আত্মসমর্পণ করবে না এবং মারিউপোলে লড়াই জারি থাকবে। প্রায় ২৫০০ ইউক্রেনীয় সেনা এখনও আজ়োভস্তল স্টিল প্ল্যান্ট নিজেদের দখলে রেখেছে বলে জানা গিয়েছে।ইউক্রেন প্রশাসন জানিয়েছে, রুশ হামলায় মারিউপোলে প্রায় ২১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও শহরের ভিতরেই আটকে রয়েছেন কমপক্ষে ১ লক্ষ মানুষ।