ভাস্কর্যে বিশালায়তন যোনি! শিল্পকর্মে বিশ্বব্যাপী সাড়া, শিল্পীর জুটল সমালোচনাও
আপাত দৃষ্টিতে জুলিয়ানার ‘ডিভা’ আসলে বিশালাকার এক যোনি। ৩৩ মিটার উচ্চতা, ১৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৬ মিটার গভীর এই যোনি-ই এখন আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
আপাত দৃষ্টিতে জুলিয়ানার ‘ডিভা’ আসলে বিশালাকার এক যোনি। ৩৩ মিটার উচ্চতা, ১৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৬ মিটার গভীর এই যোনি-ই এখন আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ব্রাজিলের পার্নাম্বুকো, যা সে দেশের সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, সেখানেই নিজের শিল্পকর্ম তুলে ধরেছেন শিল্পী জুলিয়ানা। সম্প্রতি সেই শিল্পকর্ম জনসমক্ষেও এনেছেন তিনি। ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে শিল্পী জানিয়েছেন, তাঁর এই শিল্প স্রেফ যোনি-ই নয়, এই ভাস্কর্য আসেল নারীর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সংস্কৃতি ও প্রকৃতির নিবিড় সম্পর্ক।
অপ্রতিরোধ্য ইচ্ছাশক্তি, জেদ, সহাবস্থান এবং শিক্ষার একটি সংমিশ্রণ হল এই শিল্পকর্ম। পশ্চিমি বিশ্বে সমাজের নৃতত্ব এবং লিঙ্গ সমস্যারও স্বরূপ এই ‘ডিভা’। শিল্পী জুলিয়ানা তাঁর শিল্পকর্মে ব্যক্ত করেছেন, মানুষ এবং ‘মানুষ নয়’ এমন জীবজগতের সম্পর্ক।
ওই ফেসবুক পোস্টেই শিল্পকর্ম তৈরিতে প্রত্যেক সহযোগীর পেশাদারিত্ব, সংবেদনশীলতা ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিল্পী জুলিয়ানা। শিল্পীর ৩১ ডিসেম্বরের ওই পোস্ট নতুন বছরে রীতিমতো ভাইরাল। সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই ফেসবুক বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও জুলিয়ানার ‘ডিভা’। এই ভাস্কর্য প্রশংসা যেমন আদায় করেছে, তেমনই শিল্পীকে দাঁড় করিয়েছে নিন্দার ঝড়ের সামনেও। প্রগতিশীলদের চোখে জুলিয়ানার এই শিল্পকর্ম সাধুবাদ অর্জন করলেও কমিউনিস্ট বিরোধীদের কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন জুলিয়ান। ‘কুরুচির নিদর্শন’, ‘জনগণের অর্থ ধ্বংস করে কমিউনিস্ট জঞ্জাল তৈরি করেছে’, এমনও মন্ত্বব্য এসেছে জুলিয়ানার দিকে। তবে আত্মমগ্ন শিল্পী, শিল্পেই বিভোর এবং নিরুত্তর।