Vladimir Putin: পুতিনের সঙ্গে দূরত্ব কমছে পশ্চিমী দেশগুলির? স্মিত হেসে জবাব দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট

Vladimir Putin: ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের কারণে ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণসাগরে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, শস্য, রান্নার তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাশিয়া।

Vladimir Putin: পুতিনের সঙ্গে দূরত্ব কমছে পশ্চিমী দেশগুলির? স্মিত হেসে জবাব দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট
ছবি সৌজন্যে : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2022 | 12:54 PM

মস্কো: ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অতর্কিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর গোটা বিশ্বে তাঁকে ‘ভিলেন’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে আমেরিকা, ব্রিটেন সহ পশ্চিমী বিশ্বের দেশগুলি। শুধু তাই নয়, যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বে জ্বালানির বাড়তে থাকা দামের কারণেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করছেন অনেকে। এতদিন পশ্চিমী দেশগুলিকে নিশানা করেছেন পুতিন। কিন্তু সোমবার দোর্দণ্ডপ্রতাপ রুশ প্রেসিডেন্টের অবস্থানেও খানিক বদল দেখা গিয়েছে। বদলের অর্থ এতদিন যে পুতিন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কথা বলতেই অভ্যস্ত ছিলেন, সেই পুতিনের গলাতেই এদিন শোনা গিয়েছে ব্যঙ্গের সুর। পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে আর্থিক সঙ্কট এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চান পুতিন? একান্ত বন্ধু বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজেন্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন পুতিন।

ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের কারণে ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণসাগরে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, শস্য, রান্নার তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাশিয়া। রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেদেশের অর্থনীতি ভাল অবস্থানে রয়েছে একথা বেলারুশের রাষ্ট্রপতিকে আলেকজেন্ডার লুকাশেঙ্কোকে বলেছিলেন পুতিন। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে একথা বলেছিলেন পুতিন।

লুকাশেঙ্কোর মতে, নিষেধাজ্ঞাগুলি সব দেশগুলিকেই নিজেদের উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করেছে। লুকাশেঙ্কো পুতিনকে জানিয়েছেন, “তারা নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে, এই কারণে তাদের ধন্যবাদ।” এদিন কার্যত রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট। লুকাশেঙ্কো বলেন, “নিজস্ব দেশের সংবাদমাধ্যমের খবর পড়ে তারা মূল্যায়ন করছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে হিসেবেও দোষারোপ করার জন্য তারা পুতিনকে বেছে নিয়েছে। ‘সবকিছুর জন্য পুতিনই দায়ী’, এমনই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” মাথা নেড়ে লুকাশেঙ্কোর কথা সম্মতি জানাতে দেখা গিয়েছে পুতিনকে। স্মিত হেসে পুতিন বলেন, “আমরাও তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব।”