Modi in Quad Meeting: ‘পরস্পরের প্রতি আস্থা সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে’, কোয়াড বৈঠকে বার্তা মোদীর
QUAD Summit: বেজিংয়ের বেপরোয়া মনোভাব এবং বলপূর্বক বাণিজ্য চালানোর প্রক্রিয়া যে এই দেশগুলি মোটেও ভালভাবে নিচ্ছে না, তা অনেক আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
টোকিয়ো: কোয়াড বৈঠকে (QUAD Summit) যোগ দিতে গতকালই জাপানের রাজধানী টোকিয়ো (Tokyo) উড়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মোদী ছাড়া অন্যান্য কোয়াডভুক্ত দেশ আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রনেতারাও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। আজ জাপানের রাজধানী টোকিয়োতে মোদী সহ অন্য তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিলেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোয়াডের সদস্য দেশগুলির নেতারা মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। এই বৈঠকের শুরুতেই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, কোয়াড সদস্য দেশগুলির পরস্পরের প্রতি আস্থা এবং দৃঢ় মনোভাব গণতান্ত্রিক চিন্তা ভাবনাকে নতুন করে শক্তি এবং উৎসাহ দেয়। মোদী ছাড়া এদিনের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফিউমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়ি উপস্থিত ছিলেন। কোয়াড সম্মেলনে যৌথ বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাইডেনের সঙ্গে মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাশিয়া নিয়ে মতান্তের পর এই প্রথম দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সাক্ষাৎ হতে চলেছে।
এবারের কোয়াড বৈঠক একদিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কোয়াডের সদস্য প্রতিটি দেশের সঙ্গে বেশই কয়েকদিনে চিনের সম্পর্ক অনেকটাই খারাপ হয়েছে। বেজিংয়ের বেপরোয়া মনোভাব এবং বলপূর্বক বাণিজ্য চালানোর প্রক্রিয়া যে এই দেশগুলি মোটেও ভালভাবে নিচ্ছে না, তা অনেক আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কোয়াডের সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা ভালভাবেই জানেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন ক্রমশই শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছে, যা এই দেশগুলির জন্য দুশ্চিন্তার। সেই কারণে চিনকে এদিনের বৈঠকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অতীতেও বেজিংকে চাপে রাখতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যৌথ নৌ-মহড়া করেছিল কোয়াড সদস্য দেশগুলি। এই অঞ্চলে চিনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়েও এই দেশগুলির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেজিং দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে। যদিও তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতো দেশগুলিও দক্ষিণ চিন সাগের অংশীদারিত্ব নিয়ে সরব হয়েছে।