Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nagpur Murder Case: সামান্য কারণে বাবার হাতে ‘খুন’ ১০ বছরের ছেলে! বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রতিবেশীরা

Murder Case: কোরাডি থানার সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এই নির্মম হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, "শান্তিলাল মাদাভি নামের ওই ব্যক্তি জল না ভরার কারণে তার ১০ বছর বয়সী ছেলে গুলশনকে মারতে মারতে হত্যা করেছে।

Nagpur Murder Case: সামান্য কারণে বাবার হাতে 'খুন' ১০ বছরের ছেলে! বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রতিবেশীরা
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2022 | 11:32 AM

নাগপুর: নেশা সর্বনাশা! এই কথা সকলেই জানেন। নেশা জীবনে বিপর্যয় নামিয়ে আনতে পারে। মাঝেমধ্যেই এমন অনেক ঘটনা আমাদের সামনে আসে যেখানে দেখা যায়, কোনও ব্যক্তির নেশায় আসক্তি পরিবারকে মারাত্মক বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। নেশার বশে মানুষ কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাগপুরেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মদের নেশার বশে নিজের সন্তানকেই খুন করেছে এক ব্যক্তি। সোমবার এমনই জানিয়েছে নাগপুর পুলিশ (Nagpur Police)। বাবা-মা সন্তানের জন্য সব কিছু করতে পারে, কিন্তু নেশার ঘোরে অত্যন্ত সামান্য কারণে বাবা যে তার ছেলেকে খুন করতে পারে, তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িতে জল না ভরার কারণে মদ্যপ অবস্থায় নিজের ১০ বছর বয়সী ছেলেকে খুন করেছে ওই ব্যক্তি। কোরাডি থানা এলাকার সুরাদেবী গ্রামে রবিবার রাতে এই মারাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে।

কোরাডি থানার সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এই নির্মম হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, “শান্তিলাল মাদাভি নামের ওই ব্যক্তি জল না ভরার কারণে তার ১০ বছর বয়সী ছেলে গুলশনকে মারতে মারতে হত্যা করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিয়মিত মদ্যপ অবস্থায় অতি সাধারণ বিষয়ে তার ছেলেকে মারধর করত। পরিবারের এক আত্মীয় অচৈতন্য অবস্থায় ছেলেটিকে শুয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানায়। প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দিয়েছিল।” পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নাবালকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে নির্যাতন ও বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়েই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জেরা করতে শুরু করে এবং জেরার মুখে সে জানায়, সে নিজের ছেলেকে খুন করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।